ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য ছিল কাতার বিশ্বকাপ: রোনালদোর বোন

কাতার বিশ্বকাপটা ভুলে যেতেই চাইবেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। নিজের পড়তি ফর্মের সঙ্গে পর্তুগালের শেষ আট থেকে ছিটকে যাওয়া, সব মিলিয়ে মরুর বুকে সময়টা একেবারেই ভালো কাটেনি সিআর সেভেনের। তার ওপর নকআউটের শেষ দুই ম্যাচে ছিলেন বেঞ্চে। রোনালদোর বড় বোন কাতিয়া এভেইরো তো ইতিহাসের সবচেয়ে 'জঘন্য' বলে আখ্যা দিলেন মরুর বুকের এই বিশ্বকাপকে।

রোনালদোর হতাশার বিশ্বকাপ দুহাত ভরে দিয়েছে সেরার দৌড়ে গত এক দশক ধরে তার প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিকে। আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ খরা তো ঘুচিয়েছেনই, জিতে নিয়েছেন সর্বোচ্চ মর্যাদার আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও। সাত গোল করে ছিলেন গোল্ডেন বুটের লড়াইয়েও। নিজের ভাইয়ের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপের ইতি এভাবে ঘটার পর তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর হাতে সোনালী ট্রফিটা তাই সঙ্গত কারণেই ভালো লাগেনি কাতিয়ার।

তবে ফাইনাল ম্যাচের উত্তেজনা উপভোগ করেছেন তিনি। সামাজিকমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি লেখেন, 'এটা ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য বিশ্বকাপ ছিল... কিন্তু আমরা ভাগ্যবান এটা দারুণ একটা ফাইনাল ম্যাচ দিয়েছে আমাদের। কি চমৎকার ম্যাচ। আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন।'

যে মেসির হাত ধরে এলো এই সাফল্য তাকে যেন পুরোপুরি অগ্রাহ্য করে গেলেন রোনালদোর বোন। কিন্তু হ্যাটট্রিক করা কিলিয়ান এমবাপেকে ঠিকই প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি, 'এই বাচ্চাটা অসাধারণ। দারুণ একটা ভবিষ্যৎ তোমার অপেক্ষা করছে।'

রোববার কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল হার মানিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের সকল বিশ্বকাপ ফাইনালকেই। ম্যাচটিতে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় আর্জেন্টিনা। এর আগে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ১২০ মিনিটেও জয় ছিনিয়ে আনতে পারেনি কোনো দল। প্রথমার্ধেই লিওনেল মেসি ও আনহেল দি মারিয়ার গোলে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচের শেষভাগে এসে খেলার চিত্র বদলে দেন কিলিয়ান এমবাপে, এক মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে লড়াইয়ে ফেরান ফ্রান্সকে।

কিন্তু নাটকের তখনও বাকি। অতিরিক্ত সময়ে মেসির গোলে ফের এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা, শেষ বাঁশি বাজার মিনিট দুয়েক আগে পেনাল্টি পেয়ে আবারও সমতা টানেন এমবাপে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পায় আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচশেষে বর্তমান ও সাবেক অনেক ফুটবলারের কণ্ঠেই প্রশংসা ঝরেছে এই ফাইনাল নিয়ে।

Comments

The Daily Star  | English

Iran's top security body to decide on Hormuz closure

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

16h ago