৬টি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে ভালদানোকে যা বলেছিলেন মেসি

বয়সটা ৩৫। কিন্তু এখনও ক্যারিয়ারের সেরা সময়ের মতোই পারফর্ম করে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। তাতে অনেকেই আশায় বুক বেঁধেছেন ২০২৬ বিশ্বকাপেও হয়তো দেখা যাবে তাকে। যা করতে পারলে ফুটবল ইতিহাসের অনন্য এক নজির গড়বেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তবে কাতার বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার মেসি এ প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছিলেন ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী হোর্হে ভালদানোর কাছে।

কাতার বিশ্বকাপের জন্য আর্জেন্টিনার স্কোয়াড ঘোষণার সঙ্গেসঙ্গেই পাঁচ বিশ্বকাপ খেলার কীর্তি গড়েন মেসি। যেখানে তার সঙ্গে রয়েছেন অনেকেই। এই বিশ্বকাপেই তার সঙ্গে পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলেছেন পর্তুগালের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, মেক্সিকোর আন্দ্রেয়াস গার্দাদো ও গিলার্মো ওচোয়া। এর আগে ইতালির জিয়ানলুইজি বুফন, জার্মানির লোথার ম্যাথিউজ ও মেক্সিকোর রাফায়েল মার্কেজ ও আন্তনিও কারবাহালও খেলেছেন পাঁচটি করে বিশ্বকাপ। ফলে সবমিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়ায় আটে।

তবে এদের সবাইকে ছাড়িয়ে ছয়টি বিশ্বকাপ খেলার দারুণ সুযোগ রয়েছে মেসির সামনে। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য সে বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে পা দিবেন ৩৯ বছর বয়সে। যা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। কারণ এরচেয়েও বেশি বয়সী অনেক খেলোয়াড়ই খেলেছেন বিশ্বকাপে। এমনকি পেপে, দানি আলভেসদের মতো অনেকেই খেলেছেন এবারের কাতার বিশ্বকাপেও।

সোমবার স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কাদেনা কোপ'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসির ছয় বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি প্রসঙ্গে ভালদানো বলেন, 'বিশ্বকাপের আগে যখন আমি ওর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম, ক্যামেরার বাইরে আমি ওকে বলেছিলাম যে ও পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে এবং কোনো ফুটবলার ছয়টি খেলেননি। ও আমাকে বলেছিল যে এটা অসম্ভব তবে ও আমাকে বলেছিল "আমি যদি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হই তবে আমি পরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমার জার্সিটি রাখব।"'

শেষ পর্যন্ত মেসি কতোটা পেরে উঠবেন তাতে নিজেও সন্দিহান ভালদানো, 'আমরা দেখব মেসি সক্ষম হয় কি-না। তবে ফুটবল দেখিয়েছে যে ছয়টি বিশ্বকাপ খেলা কার্যত অসম্ভব।'

তবে বিশ্বকাপের আগে গণমাধ্যমে বিদায়ের সুরই শুনিয়েছিলেন মেসি, 'হ্যাঁ, এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমি ভালো অনুভব করছি শারীরিকভাবে। আমি এই বছর খুব ভালো একটি প্রাক-মৌসুম কাটিয়েছি। এটা আমি আমি গত বছর করতে পারিনি। তাই এবার অন্যভাবে শুরু করা অপরিহার্য ছিল।'

৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জতে নেওয়ায় দারুণ উচ্ছ্বসিত ভালদানো। মেসির মতো নিজেও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কিন্তু এবার উত্তেজনাটা বেশি ছিল এ সাবেক তারকার, 'আমি ৮৬'তে যখন মাঠে খেলেছি তখনও এতোটা টেনশন অনুভব করিনি যতোটা এবার করেছি। গতকাল (রোববার রাতে) অকল্পনীয় টেনশন অনুভব করেছি। আপনি যখন কেবল দেখেন, তখন এটা তৈরি হয়।'

কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার সঙ্গে মেসির মিল ও পার্থক্যটাও তুলে ধরেন তিনি, 'ম্যারাডোনা এবং মেসির মধ্যে মিল হচ্ছে তারা দুজনেই জিনিয়াস। পার্থক্য হল মেক্সিকোতে ৮৬'তে শারীরিকভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে (২৬ বছর বয়সী) ছিল দিয়াগো এবং লিওর বয়স এখন ৩৫ বছর এবং এই বয়সে ওর প্রতিভা এবং প্রজ্ঞা প্রকাশ করতে হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

‘For 15 years I fought for BNP leaders and activists, today they pushed me’

Rumeen Farhana says she was almost knocked down during clash at EC over Brahmanbaria boundaries

2h ago