মেসি বন্দনায় ক্যাপেলো, রোনালদোকে বললেন 'অহংকারী'

কাতার বিশ্বকাপে সম্পূর্ণ ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে সময়ের অন্যতম সেরা দুই তারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। ক্ষুদে জাদুকর শেষ পর্যন্ত পরম অরাধ্য সোনালী ট্রফিটা ছুঁতে পারলেও মরুর বুকে সিআর সেভেনের প্রাপ্তির খাতাটা শূণ্যই বলা চলে। কিংবদন্তি ফুটবল ম্যানেজার ফাবিও ক্যাপেলোর মতে বিশ্বকাপ না জিতলেও দিয়েগো ম্যারাডোনার সমতুল্যই থাকতেন মেসি, অন্যদিকে রোনালদোকে বললেন 'অহংকারী'।

ক্লাব ক্যারিয়ারে অর্জনের কোনো কমতি না থাকলেও জাতীয় দলের হয়ে কিছুতেই শিরোপা জিততে পারছিলেন না মেসি। গত বছর আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকার ট্রফি জিতে সেই আক্ষেপ ঘুচান তিনি। তবু বাকি ছিল সর্বোচ্চ মর্যাদার বিশ্বকাপ জয়। কাতারে সেই আক্ষেপেরও অবসান ঘটান লা পুল্গা, অনেকের মতে যা ইতি ঘটিয়েছে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় মেসির থাকা না থাকার বিতর্কের।

তবে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ম্যানেজার ক্যাপেলো মনে করেন বিশ্বকাপ না জিতলেও একই পর্যায়েই থাকতেন লিও। সর্বোচ্চ মর্যাদার আসরের শিরোপা জিতে স্বদেশী কিংবদন্তি ম্যারাডোনার পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন কিনা মেসি এমন প্রশ্নে ইতালিয়ান গণমাধ্যম কোরিয়েরে দেল্লা সেরাকে তিনি বলেন, 'আমার মতে বিশ্বকাপের আগেও সে (মেসি) একই পর্যায়ে ছিল। পেলে, মেসি এবং ম্যারাডোনা এমন সব জিনিস করেছেন যা অন্যরা কল্পনাও করতে পারেনি।'

দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ফুটবল বিশ্ব উপভোগ করেছে মেসি-রোনালদোর তুমুল দ্বৈরথ। ২০০৮ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত টানা দশ বছর ফুটবলারদের সর্বোচ্চ মর্যাদার ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন-ডি-অর নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছিলেন এই দুই মহাতারকা। তবে সম্প্রতি পড়তি ফর্ম ও মাঠের বাইরের নানা বিতর্ক বেশ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে রোনালদোর ক্যারিয়ারে। অন্যদিকে সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে বিশ্বকে ফুরিয়ে না যাবার বার্তা দেন মেসি।        

গত নভেম্বরে পিয়ের্স মরগ্যানকে দেওয়া বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়তে হয় রোনালদোকে। এখন পর্যন্ত শীর্ষ কোনো ক্লাবই আগ্রহ প্রকাশ করেনি পাঁচবারের ব্যালনজয়ীকে দলে নিতে। আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতার এই অবস্থার জন্য তাকেই দায়ী করেন ক্যাপেলো।

৭৬ বছর বয়সী এই সাবেক কোচ বলেন, 'রোনালদো নিজেই তার এই অবস্থার জন্য দায়ী ও তার ক্যারিয়ারে সে যা (অর্জন) করেছে তাতে এটা লজ্জার। একজন খেলোয়াড় হিসেবে তার দিকে আঙ্গুল ওঠানো যায় না কিন্তু সে অহংকারী ছিল। তার ওপর আস্থা রাখবে এমন কোনো ক্লাব খুঁজে পাওয়ার আগেই সে (ভাগ্যের হাতে) নিজেকে সঁপে দিল। যেকোনো দলের জন্য সে অনেকটা বোঝায় পরিণত হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

5h ago