মেসির ট্যাটু বানানোর হিড়িক আর্জেন্টাইনদের

কাতারে সর্বোচ্চ মর্যাদার আসরের ৩৬ বছরের শিরোপাখরা ঘুচিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। আসরজুড়ে নান্দদিক ফুটবল খেলার পাশাপাশি গোল করে ও করিয়ে এই সাফল্যের সবচেয়ে বড় ভাগীদার ছিলেন লিওনেল মেসি। যে মহাতারকার হাত ধরে এলো এই অর্জন তাকে শ্রদ্ধা জানাতে তাই দলে দলে নিজেদের দেহে 'মেসি ট্যাটু' বানাচ্ছেন সাধারণ আর্জেন্টাইনরা। 

রোববার কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় আর্জেন্টিনা। মেসির হাতে প্রথমবারের মতো ওঠে পরম আকাঙ্খিত সোনালী ট্রফি, এতে আনন্দ বাধ ভাঙে তার ভক্তদেরও। গত মঙ্গলবার আর্জেন্টিনা দল দেশে ফিরলে বুয়েন্স আয়ার্সের সড়কে শুরু হয় উৎসব। তার আগে থেকেই বেড়ে যায় লাতিন দেশটির ট্যাটু শিল্পীদের ব্যস্ততা।

সমর্থকদের মধ্যে 'মেসি ট্যাটু' বানানোর এই হিড়িকের কথা জানিয়েছে আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমগুলো। কয়েকজন ট্যাটু শিল্পীর বক্তব্যও তুলে ধরেছে তারা। স্থানীয় ট্যাটু শিল্পী সেবাস্তিয়ান আরগুয়েলো পাজ বলেন, 'আমি জানতাম অনেক মানুষ মেসি ও (আর্জেন্টিনা) দলের ট্যাটু বানাতে চায় কারণ তারা ফাইনালের আগেই আমাকে জানিয়ে রেখেছিল। আমি কল্পনাও করিনি (ফাইনালের) পরদিন দোকানে লাইন লেগে যাবে।'

ফাইনালের পরদিন তার দোকানে দিনব্যাপী ট্যাটু প্রত্যাশীদের ফোন এসেছিল বলে দাবি করেন আরগুয়েলো। সকলেই মেসি, বিশ্বকাপ ও আর্জেন্টিনার পতাকার ট্যাটুর ব্যাপারে জানতে চাইছিল বলে জানান তিনি।

৪৪ বছর বয়সী রামিরো সলিস সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জীবনে আর কখনও ট্যাটু করবেন না। কিন্তু মেসিকে বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরতে দেখে আর নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি তিনি, 'আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আর ট্যাটু বানাবো না। কিন্তু যখন মেসিকে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে দেখলাম আমি সিদ্ধান্ত নিলাম একটা ট্যাটু তার প্রাপ্য।'

আরেক ট্যাটু শিল্পী আন্দেস দি উইন্তারের দোকান থেকে ট্যাটু বানিয়েছেন ক্রিস্তিয়ান গ্রিলো। মেসির তিন তারকা সম্বলিত ১০ নম্বর জার্সির ট্যাটু বানিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, 'অন্যরকম, বিশেষ: একদম তার (মেসির) মতোই।'

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে মেসির আগ্রাসনও মনে গেঁথে আছে আর্জেন্টাইনদের। মেসির আগ্রাসী অভিব্যক্তির ট্যাটু করানো ৬৮ বছর বয়সী মারিয়া সেলিয়া কমপানো বলেন, 'যখন মেসি বলল ''তুমি কি দেখছ, গাধা?'' আমি ভেবে রেখেছিলাম যদি আমরা (বিশ্বকাপ) জিতি, আমি এটার ট্যাটু বানাব।'

Comments

The Daily Star  | English
Domestic violence killing women in Bangladesh

Domestic violence in Bangladesh: When numbers speak of the silence

When we are informed that 133 women have been killed by their husbands in seven months, it is no longer just a number.

8h ago