৮০০ গোলও করতে পারে হালান্ড: ডি ব্রুইনা

ম্যানচেস্টার সিটিতে আসার পর রীতিমতো গোলমেশিনে পরিণত হয়েছেন আর্লিং হালান্ড। ২২ বছরের এই তরুণ ফুটবলার যেভাবে খেলে চলেছেন সেটা ধরে রাখতে পারলে অনেকদূর যাবেন বলেই মনে করেন তার ক্লাব সতীর্থ কেভিন ডি ব্রুইনা। নরওয়েজিয়ান তারকার মাঝে সিটিজেনদের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা সের্জিও আগুয়েরোকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন বেলজিয়ান মহাতারকা।

ম্যানচেস্টার সিটিতে আসার পর রীতিমতো গোলমেশিনে পরিণত হয়েছেন আর্লিং হালান্ড। ২২ বছরের এই তরুণ ফুটবলার যেভাবে খেলে চলেছেন সেটা ধরে রাখতে পারলে অনেকদূর যাবেন বলেই মনে করেন তার ক্লাব সতীর্থ কেভিন ডি ব্রুইনা। নরওয়েজিয়ান তারকার মাঝে সিটিজেনদের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা সের্জিও আগুয়েরোকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন বেলজিয়ান মহাতারকা।

বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে আলো ছড়িয়ে চলতি মৌসুমে ম্যান সিটিতে নাম লেখান হালান্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন ১৯ ম্যাচে। তাতেই নামের পাশে ২৪ গোল তার। গোলবারের সামনে তুখোড় ফিনিশিংয়ে নিজেকে পরিণত করেছেন কোচ পেপ গার্দিওলার 'অটোমেটিক চয়েজে'। ফলে ক্যারিয়ার শেষে হালান্ডের নামের পাশে ৮০০ গোলও থাকতে পারে বলে মনে করেন ডি ব্রুইনা।

বিশ্বকাপ বিরতি শেষে আগামী বুধবার লিডসের বিপক্ষে ফের প্রিমিয়ার লিগ শুরু করবে সিটি। সেই ম্যাচের প্রাক্কালে ৩১ বছর বয়সী তারকা মিডফিল্ডার সংবাদকর্মীদের বলেন, 'ইতোমধ্যে তার প্রায় দুশো গোল আছে। সুতরাং সে ৬০০, ৭০০ অথবা ৮০০ পর্যন্তও যেতে পারবে যদি সে ফিট থাকে ও সবসময় যা করে সেগুলো করে যেতে পারে।'

নিজের ক্যারিয়ারে অনেক মানসম্মত স্ট্রাইকারের সঙ্গেই খেলেছেন ডি ব্রুইনা। যাদের মধ্যে আছেন আগুয়েরো, রোমেলু লুকাকুর মতো অভিজ্ঞ তারকারা। ক্লাব ক্যারিয়ারে ৩৮১ গোল করা আগুয়েরোকেও হালান্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন ব্রুইনা।

তিনি বলেন, '(তাদের) তুলনা করা খুবই কঠিন কারণ তারা প্রত্যেকেই সম্পূর্ণ আলাদা। তারা প্রত্যেকেই ৩০০ অথবা ৪০০ গোল করেছে। গোলের প্রচণ্ড নেশায় মত্ত থাকে আর্লিং। হয়ত তাদের ছাড়িয়ে যাবে সে।'

গোল করার এই ক্ষুধাই হালান্ডকে অনন্য করে তুলেছে বলে মত দেন ব্রুইনা, 'সে এখনও তরুণ যে তার জীবনকে উপভোগ করছে এবং ফুটবলকে খুবই গুরুত্ব সহকারে নিয়ে থাকে সে। সে গোল করতে ভালোবাসে, সুতরাং আমার মতে এটাই তার সবচেয়ে অনন্য বিষয়।'

Comments