‘ভারতের মানের ধারেকাছেও নেই পাকিস্তান’

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টিকে থাকার লক্ষ্যে ভারতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পাকিস্তান। এই ম্যাচে হারলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে যেতে পারে স্বাগতিকদের। অর্থাৎ বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানরা মুখিয়ে থাকবেন জয়ের জন্য। তবে বহুল প্রতীক্ষিত লড়াইটি একপেশে হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকারের দৃষ্টিতে, এখনকার পাকিস্তান দল অনেক দুর্বল।
আগামীকাল রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে 'এ' গ্রুপের ম্যাচে মাঠে নামবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল তিনটায়। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ঘাঁটলে, পাকিস্তানের জন্য আশাবাদী হওয়া কঠিন। গত এক দশকে তারা ভারতের বিপক্ষে খেলেছে নয়বার। এর মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচে জিতেছে দলটি। হেরেছে সাতটি, পরিত্যক্ত হয়েছে বাকিটি।
পাকিস্তানের চেয়ে সামর্থ্য ও দক্ষতায় এগিয়ে থাকায় আসন্ন লড়াইয়ে ভারতের জয় দেখছেন দেশটির হয়ে ৩৭ টেস্ট ও ৭৪ ওয়ানডে খেলা মাঞ্জরেকার। গতকাল আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার 'বি' গ্রুপের ম্যাচে হিন্দি ভাষায় ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় তিনি বলেন, 'ভারতের মানের ধারকাছেও নেই পাকিস্তান। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য করছে ভারত। আর এবার পাকিস্তানকে আরও দুর্বল দেখাচ্ছে। তবে এরপরও এই লড়াই নিয়ে উন্মাদনায় ভাটা পড়েনি।'

করাচিতে গত সপ্তাহে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যায় পাকিস্তান। সেদিন দলটির পেসাররা ছিলেন খরুচে। শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ ওভারপ্রতি গড়ে ছয়ের বেশি রান দেন। হারিস রউফের ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঝড়। তিনি ২ উইকেট নিলেও ১০ ওভারে বিলিয়ে দেন ৮৩ রান। সেই তুলনায় স্পিনাররা ভালো করেন। তিন স্পিনারের মোট ২০ ওভারে আসে ১০২ রান।
দুবাইয়ের কন্ডিশনে স্পিনাররা পাবেন বাড়তি সাহায্য। কিন্তু সেখানেও পাকিস্তানের ঘাটতি রয়েছে। তাদের স্কোয়াডে একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার আবরার আহমেদ। কিউইদের বিপক্ষে হাত ঘোরানো খুশদিল শাহ ও সালমান আগা ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের বিপক্ষে কতটা কার্যকর হতে পারেন, তা নিয়ে সংশয় থাকছে। ৩৪ ওয়ানডে খেলে ৪৫.৮৭ গড়ে সালমান পেয়েছেন ১৬ উইকেট। খুশদিল ১৪ ওয়ানডেতে ৯৬.৩৩ গড়ে নিয়েছেন স্রেফ ৩ উইকেট।
মাঞ্জরেকারের মতে, পাকিস্তানের বোলিং বিভাগ রোহিত শর্মা-শুবমান গিলদের জন্য বিপাকে ফেলার মতো নয়, 'এই ধরনের কন্ডিশনে সফল হতে আপনার একাধিক স্পিনার থাকতে হবে। পাকিস্তানের আছে মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার, আবরার। তারা সালমান কিংবা খুশদিলকে দিয়ে বল করাবে। তবে তারা ভারতের ব্যাটারদের যথেষ্ট বেকায়দায় ফেলতে পারবে না। গতিও এখানে তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না।'
Comments