অধিনায়ক হিসেবে বাটলারের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ব্যর্থতা

ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার দ্রুত সাজঘরে ফিরল মার্কো ইয়ানসেনের শিকার হয়ে। এরপর প্রতিরোধ গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন জো রুট ও হ্যারি ব্রুক। সেটা হতে দিলেন না প্রতিপক্ষের কেশব মহারাজ ও ভিয়ান মুল্ডার। সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে জস বাটলারের শেষ ম্যাচে ইংলিশরা পড়ল নিদারুণ ব্যাটিং ব্যর্থতায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুইশও করতে পারল না ওয়ানডে সংস্করণে ধুঁকতে থাকা দলটি।
করাচিতে শনিবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির 'বি' গ্রুপের শেষ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করেছে ইংল্যান্ড। ৩৮.২ ওভারে তারা অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ১৭৯ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার দারুণ বোলিংয়ের পাশাপাশি অল্প পুঁজিতে গুটিয়ে যাওয়ার পেছনে ইংলিশ ব্যাটারদের দায় কম নয়। তাদের পক্ষে ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন রুট। আরও পাঁচজন দুই অঙ্ক ছুঁলেও ত্রিশের ঘরে যেতে পারেননি আর কোনো ব্যাটার।
প্রোটিয়াদের পক্ষে ২৫ রানে ৩ উইকেট পান পেস বোলিং অলরাউন্ডার নেন মুল্ডার। সমান সংখ্যক উইকেট নিতে পেসার ইয়ানসেনের খরচা ৩৯ রান। বাঁহাতি স্পিনার মহারাজ ৩৫ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট ঝুলিতে ঢোকান। একটি করে উইকেট শিকার করেন লুঙ্গি এনগিডি ও কাগিসো রাবাদা। ফিল্ডিংয়েও দলটি ছিল অসাধারণ। দারুণ ক্যাচ নিয়ে নজর কাড়েন ইয়ানসেন ও এনগিডি।
সপ্তম ওভারে ৩৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ফিল সল্ট, জেমি স্মিথ ও বেন ডাকেটকে একাই ছাঁটেন ইয়ানসেন। এরপর রুট ও ব্রুকের চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ৬১ বলে ৬২ রান। তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করেন মহারাজ। তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইয়ানসেনের অবিশ্বাস্য ক্যাচে থামেন ব্রুক।
এরপর ফের টপাটপ উইকেট উইকেট তুলে নিতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। রুটকে বোল্ড করেন মুল্ডার। মহারাজকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন লিয়াম লিভিংস্টোন। রাবাদার বলে জেমি ওভারটন ফেরেন এনগিডির নজরকাড়া ক্যাচে। ১২৯ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ায় দেড়শর নিচে থামার শঙ্কা জাগে ইংলিশদের। তারা আরও কিছুদূর যায় বাটলার ও জোফরা আর্চারের কল্যাণে। দুজন অষ্টম উইকেট জুটিতে আনেন ৫৭ বলে ৪২ রান।
আর্চারকে সাজঘরে পাঠান মুল্ডার। বাটলারের হন্তারক এনগিডি। তিনি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নেমে ৪৩ বলে ২১ রানে আউট হন। তারপর মুল্ডারের বলে আদিল রশিদ উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে থামে ইংলিশদের দুর্দশা। তখনও বাকি ছিল ইনিংসের ৭০ বল।
ইংল্যান্ড দুইশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ায় বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে আফগানিস্তানের। অন্যদিকে, ম্যাচের মাঝপথেই সেমিতে খেলা নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করা ইংল্যান্ড স্কোরবোর্ডে ৩০০ রান তুলে যদি অন্তত ২০৭ রানের ব্যবধানে জিততে পারত, তাহলেই কেবল নেট রান রেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে যেতে পারত আফগানিস্তান। কিন্তু ইংলিশদের পুঁজিই কেবল ১৭৯ রানের।
তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়া আগেই পৌঁছে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে। তাদের সঙ্গী হওয়ার দৌড়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান। দুই দলেরই অর্জন সমান ৩ পয়েন্ট করে। তবে রান রেটে আফগানদের (-০.৯৯০) চেয়ে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে প্রোটিয়ারা (+২.১৪০)। সেই সুবাদে ইতোমধ্যে তারা শেষ চারের টিকিট পেয়ে গেছে।
Comments