চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

ইংল্যান্ডের হারে বাংলাদেশ বাড়তি পেল ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা

ইংল্যান্ডের টানা তৃতীয় হারে নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের ষষ্ঠ হয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ করা। শুধু তাই নয়, মাঠের খেলায় ব্যর্থ হওয়া নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দল লাভবান হলো আর্থিকভাবে। প্রাইজমানি হিসেবে অতিরিক্ত আরও ২ কোটি ৫৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকার বেশি তাদের পকেটে ঢুকল।

শনিবার করাচিতে 'বি' গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৮০ রানের মামুলি লক্ষ্য প্রোটিয়ারা ৩ উইকেট খুইয়ে ১২৫ বল হাতে রেখে ছুঁয়ে ফেলে। এতে এই গ্রুপের সেরা হয়ে তারা সেমিফাইনালে উঠে গেছে। আর ইংলিশরা দুই গ্রুপ মিলিয়ে টুর্নামেন্টের আট দলের মধ্যে সবার নিচে থেকে বিদায় নিয়েছে। তাদের নামের পাশে কোনো পয়েন্ট নেই।

এই ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতলে, বাংলাদেশ হতো সপ্তম। সেক্ষেত্রে আইসিসির পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণের সুবাদে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার ও সপ্তম হিসেবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার পেত টাইগাররা। অর্থাৎ তাদের মিলত মোট ২ লাখ ৬৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়াত ৩ কোটি ২১ লাখ ৭৮ হাজার টাকার বেশি।

ধুঁকতে থাকা জস বাটলারের দল হারায় বাংলাদেশ পেয়েছে ষষ্ঠ স্থান। তাই ক্রিকেটের শীর্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থার পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুসারে, অংশগ্রহণের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারের পাশাপাশি ষষ্ঠ হিসেবে আরও ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার পেয়েছে টাইগাররা। অর্থাৎ তাদের পকেটে ঢুকেছে মোট ৪ লাখ ৭৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকার বেশি।

'এ' গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ পুরো টুর্নামেন্টে ছিল বিবর্ণ। প্রথম দুটি ম্যাচে তারা হেরে যায় ভারত ও নিউজিল্যান্ডের কাছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে। এতে তারা খোলে পয়েন্টের খাতা। বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানের পয়েন্টও ১। তবে নেট রান রেটে পিছিয়ে তারা। ফলে স্বাগতিকরা সব মিলিয়ে হয়েছে সপ্তম। আর পঞ্চম হয়েছে 'বি' গ্রুপে ৩ পয়েন্ট পাওয়া আফগানিস্তান।

চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, ২০১৭ সালের সবশেষ আসরের তুলনায় এবার প্রাইজমানি বাড়ানো হয়েছে শতকরা ৫৩ ভাগ। আর্থিক পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। রানার্সআপদের মিলবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দুই দলের পকেটে যাবে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার করে।

তারা আরও জানিয়েছিল, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে শেষ করা দুই দল পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে। আর তলানিতে থাকা দুই দলের জুটবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার করে। আট দলের প্রতিটি কেবল অংশগ্রহণের সুবাদে আলাদাভাবে পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার। তাছাড়া, গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচের বিজয়ী দলের মিলবে ৩৪ হাজার ডলার।

Comments

The Daily Star  | English

Consensus commission: Fresh caretaker models on the table now

The National Consensus Commission, BNP, and Bangladesh Jamaat-e-Islami have each proposed separate methods for appointing the chief adviser to caretaker government.

7h ago