‘দুবাই আমাদের ঘরের মাঠ নয়, এটি আমাদের জন্যও নতুন’

চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা হচ্ছে মোট চার ভেন্যুতে। সেমিফাইনালে যাওয়া নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সবখানেই ভ্রমণ করেছে। আর অস্ট্রেলিয়া হাজির হয়েছে তিনটি ভেন্যুতে। ভারতকে কোথাও যেতে হয়নি। হাইব্রিড মডেলের কারণে দুবাইয়ে তারা খেলছে সব ম্যাচ। ভারত এভাবে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন খেলোয়াড় থেকে ধারাভাষ্যকাররা। তবে রোহিত শর্মা সে কথা মানতে রাজি নন।
আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলতে নামবে ভারত। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দলটির অধিনায়ক রোহিতকে জিজ্ঞেস করা হয় তার দলের বাড়তি সুবিধা পাওয়া নিয়ে। জবাবে তিনি বলেন, 'এটা আমাদের ঘর নয়। এটা দুবাই। তো আমরা এখানে খুব বেশি ম্যাচ খেলি না। আমাদের জন্যও এটা নতুন। কোন পিচে সেমিফাইনাল খেলা হবে আমরা জানিনা। কিন্তু যা-ই হোক না কেন, আমাদের মানিয়ে নিতে হবে এবং দেখতে হবে কী ঘটছে।'
ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের মতে, একই ভেন্যুতে সব ম্যাচ খেললেও পিচের আচরণ পাল্টাচ্ছে, 'আমরাও জানিনা কোন উইকেট কেমন আচরণ করবে। দেখতে সব পিচকে একইরকম মনে হয়, কিন্তু যখন আপনি খেলবেন তখন একেকটিতে একেক আচরণ দেখতে পাবেন।'
এ পর্যন্ত ভারত ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ খেলেছে দুবাইয়ে। মোটাদাগে পিচগুলোকে ধীরগতির ও স্পিন-সহায়ক বলে ব্যাখ্যা দেওয়া যায়। কেন পিচ নিয়ে খোদ রোহিত দ্বিধায়, সেটি পরে তিনি বর্ণনা করেন, 'আমরা যে তিন ম্যাচ খেলেছি, প্রত্যেক ম্যাচে পিচ ভিন্ন আচরণ করেছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা দেখেছি, তাদের পেসাররা যখন বোলিং করেছেন তখন সুইং এবং সিম (মুভমেন্ট) পেয়েছেন। যা আমরা সবশেষ দুই ম্যাচে দেখেনি যখন আমাদের বোলাররা প্রথমে বোলিং করেছিলেন। আর সন্ধ্যায় পরিবেশ হালকা ঠান্ডা হয়, এজন্য বল সুইং করার সম্ভাবনা থাকে।'
শেষ চারের লড়াইয়ে নামার আগে ভারত যেখানে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে, চলতি আসরে এই ভেন্যুতে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচ হবে সেটি। চোটের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে না পারা প্যাট কামিন্স ভারতের বাড়তি সুবিধা পাওয়া নিয়ে প্রথমে মন্তব্য করেছিলেন। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার রাসি ফন দার ডুসেনও দিয়েছেন একই মতামত। সেই দলে আছেন ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেইন ও মাইকেল আথারটন।
ভারতের একই ভেন্যুতে খেলার কারণ হাইব্রিড মডেল। রাজনৈতিক বৈরিতায় পাকিস্তান সফরে যেতে রাজী হয়নি ভারত। এই নিয়ে অনেকদিন টুর্নামেন্টের আয়োজন ছিলো অনিশ্চিত। পরে আইসিসি দুই বোর্ডকে নিয়ে করে সমঝোতা। ২০২৭ সাল পর্যন্ত ভারতে হওয়া আইসিসি আসরে পাকিস্তান যেমন খেলবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে, একই ভাবে এই সময়ে পাকিস্তানে হওয়া আসরে ভারত খেলবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
Comments