রান পেলেন কেবল মিরাজ-তানজিদ

প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচটা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ করেছিল বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয় ছাড়া সেদিন সব ব্যাটারই জ্বলে উঠেছিলেন। কিন্তু মূল পর্বে নামার আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে লড়াইটা সে অর্থে করতে পেরেছেন কেবল মেহেদী হাসান মিরাজ। তার সঙ্গে কিছুটা পেরেছেন তরুণ তানজিদ হাসান তামিম। এছাড়া বাকি ব্যাটাররা ছিলেন ব্যর্থতার বৃত্তে।
সোমবার গুয়াহাটিতে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। বৃষ্টি বিঘ্নিত এই ম্যাচে ৩৭ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৮ রান করেছে টাইগাররা। ডিএলএস পদ্ধতিতে ইংলিশদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯৭ রান।
বৃষ্টির বাগড়ায় এদিন কমে আসে ম্যাচের পরিধি। ম্যাচের ৩০ ওভার পর বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ ছিল তিন ঘণ্টারও বেশি। ফলে ৩৭ ওভারে নির্ধারিত হয় ম্যাচটি। অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায় মাঠে নেমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ ছিল মাত্র সাত ওভার। হাতে ছিল পাঁচ উইকেট। কিন্তু দ্রুত রান তোলার তাগিদে ১৩ বলের ব্যবধানে হারায় ৪ উইকেট। এরপর তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের ব্যাটে অলআউট হয়নি বাংলাদেশ।
বৃষ্টির পর প্রথম ওভারে আসে মাত্র ২ রান। পরের ওভারে স্যাম কারানের প্রথম বলটি হৃদয় লেগে ঘোরাতে গিয়ে লিডিং এজ হয়ে ক্যাচ তুলে দেন শর্ট কভারে। সে ওভারেও আসেনি কোনো বাউন্ডারি। গাস অ্যাটকিনসনের পরের ওভারে অবশ্য দুটি বাউন্ডারি মেরে রানের চাকা সচল রাখেন মিরাজ। কিন্তু ডেভিড উইলির পরের ওভারে হাঁকাতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ৭৪ রান। ৮৯ বলে ১০টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি।
পরের বলে হাঁকাতে গিয়েছিলেন নাসুম আহমেদও। তবে ইনসাইড এজ হয়ে ফিরে আসেন খালি হাতে। আর পরের ওভারে প্রথম বলে শেখ মেহেদীও রানের গতি বাড়াতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ফলে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল টাইগাররা। তবে এরপর শেষ তিন ওভার দেখে শুনে খেলেই কাটিয়ে দেন তাসকিন ও শরিফুল।
এদিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফর্মে ইঙ্গিত দিলেও আবারও ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনার লিটন দাস (৫)। রিস টপলির কিছুটা এক্সট্রা বাউন্সে খোঁচা দিতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। তিনে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি দারুণ ছন্দে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তও (২)। তাকেও ফেরান টপলি। তার ফুলার লেন্থের বলে আউটসাইড এজ থার্ডম্যানে ধরা পড়েন গাস অ্যাটকিনসনের হাতে।
তবে আরেক প্রান্ত আগলে রাখেন তানজিদ তামিম। তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন মিরাজের সঙ্গে। স্কোরবোর্ডে ৫২ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৭৮ রানে মার্ক উডের বলে ইনসাইড এজ হলে বোল্ড হয়ে যান তানজিদ। অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হন তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৪ বলে ৪৫ রান।
ব্যর্থ হন মুশফিকুর রহিমও। শর্ট লেন্থের বলটি অবশ্য বেশ নিচু হয়। চেষ্টা করেও ব্যাটে খেলতে পারেননি। বোল্ড হয়ে যান ১৫ বলে ৮ রান করে। হতাশ করেন মাহমুদউল্লাহও। উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন তিনি। আদিল রশিদকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন বাউন্ডারি লাইনে। ২১ বলে ১৮ রান করেন তিনি।
Comments