বাবর নয়, শাহিনকে পাকিস্তানের নেতৃত্বে চান মালিক

এশিয়া কাপে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই কাঁটাছেঁড়া হচ্ছে বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে। বিশ্বকাপে এবার ভারতের বিপক্ষে আরও একবার হারার পর তো এই আলোচনা তুঙ্গে। অনেকের মতো বাবরকে পাকিস্তান দলের নেতৃত্বে দেখতে চান না সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিকও। তার পরিবর্তে সাদা বলের অধিনায়ক হিসেবে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে পছন্দ এই ক্রিকেটারের।
সম্প্রতি স্থানীয় টিভি চ্যানেল এ স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলার সময় মালিক বলেন, 'দেখুন, আমি আপনাকে এই বিষয়ে আমার সৎ মতামত দেব। আমি আগেও এক সাক্ষাৎকারে বলেছি বাবরের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত। এটা আমার মতামত কিন্তু এর পিছনে অনেক হোমওয়ার্ক আছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে বাবর নিজের এবং দলের জন্য দুর্দান্ত কাজ করতে পারেন।'
গত শনিবার আহমেদাবাদে বিশ্বকাপের বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচে ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে একটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের প্রত্যাশা করছিলেন ক্রিকেট ভক্তরা। কিন্তু আগে ব্যাট করে মাত্র ১৯২ রানের লক্ষ্য দিতে পারে বাবররা। যা মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ৩০.৩ ওভারেই তুলে ফেলে ভারত।
গত দুই মাসের মধ্যে ভারতের কাছে পাকিস্তানের এটি দ্বিতীয় পরাজয়। এশিয়া কাপেও বিশাল হার দেখেছিল দলটি। এমন হারের পরই প্রচণ্ড সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন বাবররা। অনেকেই মনে করেন নেতৃত্ব ছেড়ে ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হওয়া উচিত বাবরের। ব্যাটসম্যান হিসেবে বাবর দলে আরও বেশি অবদান রাখতে পারেন বলে মনে করেন শোয়েব মালিক।
তবে ভারতের বিপক্ষে হারের কারণেই বাবরকে নেতৃত্ব ছাড়ার কথা বলছেন না বলেও উল্লেখ করেন মালিক, 'এটি আমার ব্যক্তিগত মতামত এবং এর কারণ নয় যে আমরা (ভারতের বিপক্ষে) ম্যাচ হেরেছি বা আমরা বড় ব্যবধানে হেরেছি। না, এটা (আমার মতামত) তবে এর উপর ভিত্তি করে আমি এটা বলছি না।'
বাবরের পরিবর্তে অধিনায়ক হিসেবে শাহিন শাহ আফ্রিদির পক্ষে পিএসএলের পারফরম্যান্সের নানা যুক্তি তুলে ধরেন ৪১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার, 'বাবর আজম পদত্যাগ করলে শাহিন আফ্রিদির সাদা বল ক্রিকেটে পাকিস্তানের অধিনায়ক হওয়া উচিত। ও লাহোর কালান্দার্সের পক্ষে আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্ব করেছে।'
উল্লেখ্য, অধিনায়ক হিসেবে এখন পর্যন্ত ৩৭টি ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাবর। এরমধ্যে ২৪টি ম্যাচে জিতেছে, হেরেছে ১১টিতে। একটি ম্যাচ টাই ও একটি পরিত্যক্ত। আর ২০টি টেস্টের ১০টি জিতেছে বাবরের দল। ৬টি হারের সঙ্গে ৪টিতে ড্র। টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে সফল বাবর। ৭১টি ম্যাচে ৪২টিতে জয় ও ২৩টিতে পরাজয়। ৬ ম্যাচের ফল আসেনি। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ফাইনালে জায়গা করে দিয়েছিলেন বাবর। তবে ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায় দলটি।
Comments