তিন ফিফটিতে বড় লক্ষ্যই পেল আফগানিস্তান

আইসিসি বিশ্বকাপে এবার যেন উড়ছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম তিন ম্যাচেই দারুণ জয় তুলে নিয়েছে তারা। অন্যদিকে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক এক জয় তুলে নিয়ে উজ্জীবিত আফগানিস্তানও। সে ধারায় এবার গতবারের আরেক ফাইনালিস্টদের বিপক্ষেও দারুণ কিছু করতে মরিয়া দলটি। তবে অধিনায়ক টম ল্যাথাম, গ্লেন ফিলিপ্স ও উইল ইয়ংয়ের ফিফটিতে বড় লক্ষ্যই পেয়েছে আফগানরা।
বুধবার চেন্নাইয়ে আইসিসি বিশ্বকাপের ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে নিউজিল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৮৮ রান করেছে দলটি। অর্থাৎ জিততে হলে ২৮৯ রান করতে হবে আফগানদের।
এদিন ব্যক্তিগত ১ রানেই প্রথম স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন উইল ইয়ং। সেই ক্যাচটা যদি ধরতে পারতেন রহমত শাহ তাহলে পরিস্থিতি বদলেও যেতে পারতো। কারণ সেই উইং শেষ পর্যন্ত খেলেছেন ৫৪ রানের ইনিংস। ডেভন কনওয়ের সঙ্গে ৩০ রানের জুটির পর রাচিন রবীন্দ্রর সঙ্গে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। তাতে বড় পুঁজির দিকেই ছুটছিল দলটি।
এরপর অবশ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আফগানরা। ২১তম ওভারে রাচিনকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। একই ওভারে ইয়ংকেও উইকেটরক্ষক ইকরাম আলী খিলের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। পরের ওভারে এসে রশিদ খান তুলে নেন ড্যারিল মিচেলকে। তাতে বেশ চাপে পড়ে যায় কিউইরা। থমকে যায় রানের গতি। প্রথম ২০ ওভারেই ১০৯ রান তুলে দলটি পরের ১০ ওভারে করে মাত্র ২৯ রান।
তবে চতুর্থ উইকেটে গ্লেন ফিলিপ্সকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ল্যাথাম। স্কোরবোর্ডে ১৪৪ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তাতেই বড় পুঁজি পেয়ে যায় দলটি। ডেথ ওভারে এসে এ দুই ব্যাটার নাভিন উল হকের শিকার হলেও শেষ দিকে মার্ক চাপম্যানের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত ২৮৮ রানের পুঁজি আয় কিউইরা। শেষ ১০ ওভারে ১০৩ রান যোগ করে তারা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস খেলেন ফিলিপ্স। ৮০ বলে সমান ৪টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৭৪ বলে ৬৮ রান করেন ল্যাথাম। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ৬৪ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৪ রান করেন ইয়ং। রাচিনের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। শেষ দিকে ১২ বলে ২৫ রানের ক্যামিও খেলেন চাপম্যান।
Comments