আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

এর চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারে না: সাকিব

প্রথম ম্যাচের জয়ের পর বাংলাদেশের ঝুলিতে শুধুই শূন্যতার হাহাকার।

এর চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারে না: সাকিব

ছবি: এএফপি

প্রথম ম্যাচে জয়ের পর বাংলাদেশের ঝুলিতে শুধুই শূন্যতার হাহাকার। বিশ্বকাপে একের পর এক ম্যাচ যায়, বাংলাদেশ যেন ব্যর্থতার পারদে নিচের দিকে নামে আরও। সেই ধারায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এবার বরণ(!) করতে হলো ৮৭ রানের বিব্রতকর হার। এমন হতাশাজনক ফলাফলে দল তলানিতে পৌঁছে গেছে, মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

শনিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে হতশ্রী ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখায় বাংলাদেশ। ডাচদের দেওয়া ২৩১ রানের সাদামাটা লক্ষ্য তাড়ায় তারা মাত্র ১৪২ রানে অলআউট হয়ে যায়। তখনও বাকি ছিল ইনিংসের ৪৬ বল। টানা পঞ্চম হারে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে টাইগারদের বিদায় নিশ্চিতই বলা চলে।

ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব স্বীকার করে নেন ব্যাটিংয়ের বেহাল দশা, 'টুর্নামেন্ট জুড়েই আমরা ব্যাট হাতে খারাপ করছি এবং এর চাইতে খারাপ আর কিছু হতে পারে না! সামনে আরও ম্যাচ আছে, সেজন্য আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমি জানি, এই অবস্থান থেকে সেটা করা কঠিন। তারপরও আমাদের চেষ্টা করতে হবে টুর্নামেন্টটা ভালোভাবে শেষ করার জন্য।'

ব্যাটারদের দায় দেওয়ার সঙ্গে ফিল্ডিংকেও দুষছেন বাংলাদেশ কাপ্তান, 'আমার মনে হয়, আমরা ভালো বোলিং করেছি। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে ছন্নছাড়া ছিলাম। যে অবস্থানে আমরা ছিলাম, তাদেরকে ১৬০-১৭০ রানে আটকে দেওয়া উচিত ছিল আমাদের।'

নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস শূন্য রানে থাকতেই দুটি জীবন পান। পরে তারই ৬৮ রানের ইনিংসে ভর করে ডাচরা ২২৯ রানের পুঁজি পায়। সেই সংগ্রহতেই তাদের বল হাতে লড়াইয়ের রসদ মেলে। এই প্রসঙ্গে ম্যাচের পর তিনি বলেন, 'আমরা ভেবেছি (ব্যাটিংয়ের মাঝপথে) যে, ২২০ রানের ওপরে করতে পারলেই আমাদের সুযোগ আছে।'

বাংলাদেশের ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হওয়া পেসার পল ফন মিকেরেনও একই সুরে বলেন, 'আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আসলে (২২৯ রানের পুঁজি নিয়ে নামার সময়)। ব্যাটিংয়ের মাঝামাঝি সময়ে আমরা ভেবেছিলাম, ২৩০-২৪০ হলো পার (প্রত্যাশিত) স্কোর এবং সেখানে আমরা শেষমেশ যেতে পারি।'

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারানো ডাচ ক্রিকেটাররা যেখানে সেমিফাইনালের স্বপ্নের কথা শোনাতে পারছেন, সেখানে বাংলাদেশ ভোগান্তির কারণ খুঁজতেই ব্যস্ত। ফন মিকেরেন আরও একবার শোনান নিজেদের স্বপ্নের কথা, 'জয়টা খুব স্পেশাল। আমরা আগেও বলেছি, আমরা সেমিতে যেতে চাই। সেজন্য জেতা দরকার অবশ্যই। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের (রেকর্ড ৩০৯ রানে হারের) পর যেভাবে ফিরে এসেছি, সেজন্য অত্যন্ত খুশি।'

অন্যদিকে, দুর্দশার কথা দিয়েই শেষ করেন সাকিব, 'পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই আমরা ভুগছি। আমি জানি না আসলে খেলোয়াড়দের মাথায় কী চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Cashless society still a distant dream

Bangladesh’s goal of a cashless future is colliding with failed projects, user mistrust, and an economy that thrives on cash

13h ago