আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

এই মুহূর্তের জন্য ১০-১২ বছর ধরে অপেক্ষায় ছিল আফগানিস্তান

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত তাদের অভিজ্ঞ তারকা মোহাম্মদ নবি।

এই মুহূর্তের জন্য ১০-১২ বছর ধরে অপেক্ষায় ছিল আফগানিস্তান

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত তাদের অভিজ্ঞ তারকা মোহাম্মদ নবি।

এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে সাতটি ওয়ানডে খেলেছিল আফগানিস্তান। প্রতিবারই বিজয়ী দল ছিল ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন পাকরা। কয়েকটি ম্যাচে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হেরেছিল আফগানরা। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত জয়ের স্বাদ পেল দলটি, তাও আবার বিশ্বকাপের মঞ্চে। ঐতিহাসিক এই জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত তাদের অভিজ্ঞ তারকা মোহাম্মদ নবি। তিনি জানালেন, এই জয়ের জন্য ১০-১২ বছর ধরে অপেক্ষা করছিলেন তারা।

চলতি বছরের অগাস্টে হাম্বানটোটায় পাকিস্তানকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল আফগানিস্তান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি। ১ উইকেটে হেরে হতাশা বাড়ে দলটির। তবে পাকিস্তানকে হারাতে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হলো না তাদের। বিশ্বকাপে সোমবার চেন্নাইতে দাপুটে জয় পেয়েছে তারা। পাকিস্তানের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্য তারা পাড়ি দিয়েছে ৮ উইকেট হাতে রেখেই। এমনকি পাঁচটি করে ম্যাচ শেষে এখন পাকিস্তানের সমান ৪ পয়েন্ট তাদেরও।

ম্যাচশেষে একরাশ সন্তুষ্টির কথাই জানান নবি, 'পুরো দল, পুরো আফগানিস্তানের জন্য এটা বড় একটি মুহূর্ত। বড় ইভেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ম্যাচ জেতার জন্য এবং এমন একটি মুহূর্তের জন্য আমরা ১০-১২ বছর ধরে অপেক্ষা করছিলাম। গত তিন মাস ধরে আমরা খুব কঠোর পরিশ্রম করেছি, আজ একটি সুন্দর মুহূর্ত পেয়েছি।... এই জয়টা অনেক দিন ধরে আসি আসি করছিল, (এই দুই দল) প্রথমবার ২০১২ সালে, তারপর এশিয়া কাপ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলেছি। পাকিস্তানের বিপক্ষে অনেক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচ হয়েছে।'

কদিন আগেই বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় আফগানিস্তান। ২৮৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে ইংলিশদের ২১৫ রানে বেঁধে ফেলেছিল তারা। এবার তো বড় লক্ষ্য তাড়া করে জয়। নবির উল্লাস যেন তাই একটু বেশিই, 'আমরা ইংল্যান্ডকে হারিয়ে এখন পাকিস্তানকেও হারিয়েছি। সবাই ভালো মেজাজে আছে। আমরা যে শুধু পুঁজি সামলাতেই পারি তা না, এখন ভালোভাবে রান তাড়াও করতে পারি। আমরা তাদের (পাকিস্তানের) বিপক্ষে ৭-৮ ম্যাচ খেলেছি এবং শেষ মুহূর্তে গিয়ে সবসময় হেরেছি।'

ব্যাটাররা দারুণ খেললেও জয়ের ভিতটা বোলাররাই তৈরি করে দিয়েছিলেন বলে মনে করেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার, 'ইব্রাহিম ও গুরবাজ যেভাবে শুরু করেছিল, সেটাই আমাদের গতি এনে দিয়েছে। আমরা শেষ পর্যন্ত পরপর দুটি উইকেট হারাইনি। আমরা ভেবেছিলাম, উইকেট নিউজিল্যান্ডের (বিপক্ষে ম্যাচের) মতো হবে। কিন্তু এটা অনেক সহজ ছিল। আমি মনে করি, আমাদের বোলাররা খুবই ভালো করে তাদের (পাকিস্তানকে) এই পুঁজিতে আটকে দিয়েছে। এই ম্যাচে নূরকে (আহমেদ) খেলানোর পরিকল্পনা ছিল এবং সে দুর্দান্ত বল করেছে, সঠিক জায়গায়।'

এই জয়ে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে আফগানিস্তান। নেট রান রেটের ব্যবধানে তাদের ঠিক উপরেই অবস্থান পাকিস্তানের। আগামী ৩০ অক্টোবর পুনেতে পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে আফগানরা।

Comments