‘মনে হচ্ছে, তারা প্রতিদিন আট কেজি করে খাসির গোশত খাচ্ছে’
টানা দুই জয়ের পর টানা তিন হার। সবশেষটি আবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের এমন বেগতিক অবস্থায় নিশ্চিতভাবেই খুশি হওয়ার কথা নয় দেশটির সাবেক তারকাদের। কিংবদন্তি পাকিস্তানি পেসার ওয়াসিম আকরামও ভীষণ খেপেছেন। বিশেষ করে, ফিটনেস ইস্যুতে খেলোয়াড়দের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি।
গতকাল সোমবার চেন্নাইতে আফগানদের কাছে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে পাকিস্তান। তাদের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্য ৬ বল হাতে রেখে ছুঁয়ে ৮ উইকেটে জিতেছে আফগানরা। ওয়ানডেতে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে আটবারের দেখায় এটি পাকদের প্রথম হার।
বিবর্ণ বোলিংয়ের পাশাপাশি বাবর আজমের দলের ফিল্ডিংও ছিল মলিন। অবশ্য এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকেই বাজে ফিল্ডিং যেন তাদের নিত্যসঙ্গী! কয়েকবার তো হাস্যরসেরও জন্ম দিয়েছেন দলটির ক্রিকেটাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষেও সেই করুণ দশার বদল ঘটেনি। অধিনায়ক বাবর থেকে শুরু করে পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি— বাজে ফিল্ডিংয়ে প্রতিপক্ষকে 'উপহার' দিয়েছেন রান। আর এখানেই চলে আসে খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে পাকিস্তানের স্পোর্টস চ্যানেল 'এ স্পোর্টস'-এর একটি অনুষ্ঠানে বিশ্লেষক হিসেবে দেখা যাচ্ছে আকরামকে। আফগানদের কাছে হারের পর উত্তরসূরিদের ফিটনেস নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, 'মাঠ ভেজা হোক বা না হোক, ফিল্ডিংয়ের দিকে তাকান, ফিটনেস লেভেলের দিকে তাকান। গত তিন সপ্তাহ ধরে আমরা চিৎকার করে বলছি যে, গত দুই বছরে তারা কোনো ফিটনেস পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়নি। যদি আমি নাম ধরে ধরে বলি, তাহলে তো খেলোয়াড়রা অখুশি হবে। মনে হচ্ছে, তারা প্রতিদিন আট কেজি করে খাসির গোশত খাচ্ছে। তাহলে কি কোনো ফিটনেস পরীক্ষা থাকার দরকার নেই?'
বেজায় অসন্তুষ্ট সাবেক পাক অধিনায়ক বলে চলেন, 'পেশাগত কারণে তোমরা পারিশ্রমিক পাচ্ছ, দেশের জন্য খেলছ। তাই নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড থাকা দরকার। যখন মিসবাহ উল হক কোচ ছিলেন, তখন এরকম মানদণ্ড ছিল। খেলোয়াড়রা তাকে পছন্দ করত না, কিন্তু সেটাতে কাজ হতো। ফিল্ডিংয়ের পুরো ব্যাপারটাই ফিটনেসের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং সেখানেই আমাদের ঘাটতি রয়েছে।'
পাঁচ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটের ব্যবধানে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে রয়েছে পাকিস্তান। সমান পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চার ও আফগানিস্তান ছয় নম্বরে অবস্থান করছে। আগামী শুক্রবার চেন্নাইতেই পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবেন বাবররা।
Comments