আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

সাকিবের দেশে যাওয়ার ঘটনা ‘অ্যাপ্রিশিয়েট করা উচিত’, বললেন তাসকিন

মুম্বাইতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশাল হারের পরদিন পুরো দল যখন কলকাতা আসছিল, সাকিব তখন ধরেন দেশের ফ্লাইট। সাকিবের দেশে যাওয়ার পুরো ঘটনা আড়াল করে যায় বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট।

কলকাতা থেকে

সাকিবের দেশে যাওয়ার ঘটনা ‘অ্যাপ্রিশিয়েট করা উচিত’, বললেন তাসকিন

 তাসকিন আহমেদ

বিশ্বকাপের মাঝে ব্যাটিং অনুশীলনের জন্য আচমকা দেশে যাওয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে অনেকে সমালোচনা করছেন, কিন্তু তার সতীর্থরা এই ঘটনাকে দেখছেন ভিন্নভাবে। সাকিব দেশ থেকে কলকাতায় দলে যোগ দেওয়ার পর তাকে ঘিরে বিশেষ ডিনার পার্টিও হয়েছে। তাসকিন আহমেদ জানালেন, বিশ্রামের দিনেও অনুশীলন করে আসা সাকিবকে বরং বাহবা দেওয়া উচিত।

মুম্বাইতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশাল হারের পরদিন পুরো দল যখন কলকাতা আসছিল, সাকিব তখন ধরেন দেশের ফ্লাইট। সাকিবের দেশে যাওয়ার পুরো ঘটনা আড়াল করে যায় বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট।

ঢাকায় পৌঁছে মিরপুরে গিয়ে শৈশবের কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিমের সঙ্গে দুটো বড় সেশন করেন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপের মাঝে তার এভাবে ঢাকায় যাওয়া-আসা জন্ম দেয় বিতর্কের। পুরো পরিস্থিতিতে তথ্য ঘাটতি রেখে অস্পষ্টতা তৈরি করা হয়।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা তাসকিনকে শুরুতেই এই প্রসঙ্গ প্রশ্ন করা হয়। ডানহাতি পেসার জানান, নেতিবাচক প্রভাব তো নয়ই, নিজের ছন্দ পেতে সাকিবের এই মরিয়া চেষ্টাকে দল বরং বাহবা দিচ্ছে,'আসলে এটা (তার অনুপস্থিতিতে) খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। সে যখন ফিরে এসেছে, আমরা দলের সবাই খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। আসলে সে নিজের কিছু উন্নতির জন্য গিয়েছিল। ব্যাটিং প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করছিল না। এজন্য নির্দিষ্ট কিছু অনুশীলনের জন্য গিয়েছিল যাতে আমাদের দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারে। আমি মনে করি, আমাদের এটাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করা (বাহবা দেওয়া) উচিত। সে আমাদের ম্যানেজমেন্ট ও বিসিবির সঙ্গে কথা বলেছে এবং তারপর গিয়েছে। সেদিন আমাদের বিশ্রাম ছিল। অফিসিয়াল অনুশীলনে সে কিন্তু দলের সঙ্গেই আছে। আমি মনে করি, আমাদের এটাকে আরো অ্যাপ্রিশিয়েট করা উচিত। আমাদের কোনো সমস্যা নেই। এটা আমাদের (দলে) কোনো (নেতিবাচক) প্রভাব রাখেনি।'

সাকিব অনুমতি নিয়ে গিয়েছেন কিনা, তার এভাবে যাওয়ায় দলের উপরের মহলের সায় ছিল কিনা এসব প্রশ্ন নানান গুঞ্জন তৈরি করে। তাসকিনের উত্তর, গণমাধ্যমে না জানানো হলেও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনেই গিয়েছিলেন সাকিব, 'টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সে যখন কথা বলেছে... তার ব্যাটিং নিয়ে একটা কিছু অনুশীলন করা দরকার। আবার সেই দিনটা বিশ্রামের দিনও ছিল। কলকাতা থেকে কাছে ছিল। এজন্য আসলে সে গিয়েছে। সে তো আসলে অন্য কোনো পারপাসে (কারণে) যায়নি। ক্রিকেট রিলেটেড পারপাসে (সংশ্লিষ্ট কারণে) গিয়েছিল। কোচ আর ম্যানেজমেন্ট যখন বলেছে, ওকে ফাইন (কোনো আপত্তি নেই)। তখন সে গেছে। কোনো কিছু আসলে রুল ব্রেক (নিয়ম ভেঙে) করে যায়নি। পারমিশন (অনুমতি) নিয়ে গেছে। গিয়ে কিন্তু চার ঘণ্টা ব্যাটিং অনুশীলন করেছে। পরের দিনেই আবার প্র্যাকটিস (অনুশীলন) করে চলে এসেছে। এটা আসলে আমরা প্লেয়াররা (খেলোয়াড়রা), টিমমেটটরা (সতীর্থরা) অ্যাপ্রিশিয়েট করছি যে রেস্ট ডেতে (বিশ্রামের দিনে) সে গিয়ে ব্যাটিং করছে। তার ব্যাটিংটা আমাদের দলের জন্য এতটা গুরুত্বপূর্ণ যে, সেও মরিয়া যে কীভাবে ভালো করা যায়।'

আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে সাকিব দলে যোগ দেওয়ার পর আয়োজন করা হয় বিশেষ ডিনার। তাতে দলের একতাবদ্ধ থাকার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। সেই ইঙ্গিত দেন তাসকিন, 'তার আসার পর আমাদের দলের সবাই একটা ডিনার করেছি। একটা ভালো সময় কাটিয়েছি। আশা করছি, সামনে নতুন কিছু শুরু করব, ভালো কিছু করব। চারটা ম্যাচ আছে, এই চারটা ম্যাচও যদি ভালো খেলতে পারি, তাহলে ভিন্ন কিছু হতে পারে। এখন আসলে কালকের ম্যাচটাই মূল ফোকাস।'

Comments

The Daily Star  | English

‘For 15 years I fought for BNP leaders and activists, today they pushed me’

Rumeen Farhana says she was almost knocked down during clash at EC over Brahmanbaria boundaries

1h ago