আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বিদায়

এবারের আসরের সেমিফাইনালে খেলার খাতা-কলমের হিসাব শেষ হয়ে গেল সাকিব আল হাসানের দলের।

পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বিদায়

এবারের আসরের সেমিফাইনালে খেলার খাতা-কলমের হিসাব শেষ হয়ে গেল সাকিব আল হাসানের দলের।
ছবি: পিসিবি

পাকিস্তানের কাছে হেরে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় ঘটল বাংলাদেশের। এবারের আসরের সেমিফাইনালে খেলার খাতা-কলমের হিসাব শেষ হয়ে গেল সাকিব আল হাসানের দলের। ভরাডুবির বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের লিগ পর্বের পরের দুটি ম্যাচ কেবলই নিয়মরক্ষার।

মঙ্গলবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২০৪ রানে অলআউট হওয়ার পরই ম্যাচের ভাগ্য প্রায় নির্ধারিত হয়ে যায়। ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর টাইগার বোলাররাও প্রাপ্তির খাতায় তেমন কিছু যোগ করতে পারেননি। কেবল অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ৩ উইকেট।

১০৫ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে ২০৫ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। বাবর আজমের দল বাংলাদেশকে হারায় ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। তাদের পক্ষে ৭৪ বলে ৮১ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন ওপেনার ফখর জামান। উদ্বোধনী জুটিতে আব্দুল্লাহ শফিকের সঙ্গে ১২৮ রান যোগ করেন তিনি। ওই জুটির কল্যাণে পাকিস্তানের জয়ের রাস্তা একেবারে মসৃণ হয়ে যায়।

সাত ম্যাচে পাকিস্তানের এটি তৃতীয় জয়। টানা চার হারের পর এই জয়ে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার পাঁচে উঠে গেছে তারা। সমান ম্যাচে টানা ষষ্ঠ হারের দেখা পাওয়া বাংলাদেশ আছে আগের মতোই নবম স্থানে।

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ৩২.৩ ওভারে ২০৫/৩ (শফিক ৬৮, ফখর ৮১,বাবর ৯, রিজওয়ান ২৬*, ইফতিখার ১৭*; তাসকিন ০/৩৬, শরিফুল ০/২৫, মিরাজ ৩/৬০, মোস্তাফিজ ০/৪৭, সাকিব ০/৩০, শান্ত ০/৫)।

ফখরকে সেঞ্চুরি করতে দিলেন না মিরাজ

আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন একাদশে ফেরা ফখর জামান। তবে পাকিস্তানের বাঁহাতি ওপেনারকে ব্যক্তিগত মাইলফলকে যেতে দিলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার পেলেন ম্যাচে নিজের তৃতীয় উইকেট। তবে ইতোমধ্যে ম্যাচ চলে গেছে পাকিস্তানের পকেটে।

মিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্লগ সুইপ করে সীমানাছাড়া করার পরিকল্পনা ছিল ফখরের। কিন্তু সফল হলেন না তিনি। ক্যাচ তালুবন্দি করলেন তাওহিদ হৃদয়। ৭৪ বলে ৩ চার ও ৭ ছয়ে ৮১ রান করে আউট হলেন ফখর।

ওয়ানডেতে মিরাজের এটি শততম উইকেট। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৮৯তম ম্যাচে এই মাইলফলকে পৌঁছালেন তিনি। বাংলাদেশের সপ্তম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ১০০ উইকেট নিলেন তিনি।

২৮ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ৩ উইকেটে ১৭১। জয়ের জন্য ৮ উইকেট হাতে নিয়ে বাকি ২২ ওভারে তাদের চাই স্রেফ ৩৪ রান। ওভারে ক্রিজে আছেন দুই নতুন ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদ।

মিরাজের দ্বিতীয় শিকার বাবর

বেরিয়ে এসে মেহেদী হাসান মিরাজকে উড়িয়ে ছক্কা মারতে গেলেন বাবর আজম। কিন্তু কিছুটা টার্ন হওয়া ডেলিভারিতে পাকিস্তানের অধিনায়ক কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সফল হলেন না। লং-অনে বল লুফে নিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

১৬ বলে বাবরের রান ৯। তার ইনিংসে বাউন্ডারি একটি। তাকে বিদায় করে অফ স্পিনার মিরাজ ধরলেন দ্বিতীয় শিকার। দলীয় ১৬০ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হলো পাকিস্তানের।

২৬ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ১৬৫। ক্রিজে ৬৯ বলে ৮০ রানে খেলছেন ওপেনার ফখর জামান। তার সঙ্গী হলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। জয়ের জন্য ২৪ ওভারে পাকিস্তানের চাই মাত্র ৪০ রান।

বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য দিলেন মিরাজ

অবশেষে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে পারল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজকে সুইপ করার চেষ্টায় এলবিডব্লিউ হলেন আব্দুল্লাহ শফিক। রিভিউ নিলেও কাজ হলো না।

ওপেনার শফিকের সংগ্রহ ৬৮ রান। তিনি ৬৯ বল মোকাবিলায় মারলেন ৯ চার ও ২ ছক্কা। তার বিদায়ে ইতি ঘটল ১২৭ বলে ১২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।

২২ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ১ উইকেটে ১৩২। আরেক ওপেনার ফখর জামান ৬১ বলে ৬১ রানে ক্রিজে আছেন। তার সঙ্গী হলেন মাত্রই নামা অধিনায়ক বাবর আজম।

শফিকের পর ফখরের ফিফটি

১৮তম ওভারে পাকিস্তানের দুই ওপেনারই পেলেন ফিফটি। তাসকিন আহমেদের করা ওই ওভারের চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছান আব্দুল্লাহ শফিক। পরের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন ফখর জামান।

ফিফটি করতে ডানহাতি শফিকের লাগল ৫৬ বল। তার ইনিংসে চার নয়টি। বাঁহাতি ফখর হাফসেঞ্চুরিতে গেলেন ৫১ বলে। তার ব্যাটে চার দুটি ও ছক্কা পাঁচটি।

১৮ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০৫ রান। অর্থাৎ ইতোমধ্যে শফিক ও ফখরের উদ্বোধনী জুটি পেরিয়ে গেছে শতরান, ১০৭ বলে। এই জুটিতে পঞ্চাশ এসেছিল ৫৫ বলে। শফিক ৫০ ও ফখর ৫৩ রানে ক্রিজে আছেন।

জয়ের জন্য পাকিস্তানের চাই আরও ১১০ রান। হাতে ১০ উইকেটের সবকটি নিয়ে তাদের সামনে রয়েছে ৩২ ওভার। দলটির দুই ওপেনারকে কাবু করার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার পথে সাকিব আল হাসানের দল।

পাওয়ার প্লেতে সাফল্য নেই বাংলাদেশের

দশম ওভারের প্রথম বলে পাকিস্তানের পুঁজি স্পর্শ করল পঞ্চাশ। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের লেগ স্টাম্পের বাইরে থাকা বলে ব্যাট ছুঁইয়ে ফখর জামান মারলেন চার। তার পাশাপাশি আব্দুল্লাহ শফিক স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছেন। তাদেরকে কোনো পরীক্ষাতেই ফেলতে পারছেন না বাংলাদেশের বোলাররা।

পাওয়ার প্লেতে তিন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ ৪ ওভার, শরিফুল ৩ ওভার ও মোস্তাফিজুর রহমান ১ ওভার করেছেন। অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ হাত ঘুরিয়েছেন ২ ওভার। কিন্তু কেউই প্রতিপক্ষের ওপেনারদের জন্য আতঙ্ক হতে পারেননি। ফলে ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও পাওয়ার প্লে ভালো কাটল না বাংলাদেশের।

১০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫২ রান। শফিক ২৭ বলে ২০ ও ফখর ৩৩ বলে ৩০ রানে ক্রিজে আছেন। সাদামাটা লক্ষ্য তাড়ায় দলকে উজ্জ্বল শুরু পাইয়ে দিয়েছেন তারা।

পাকিস্তানের সতর্ক শুরু

প্রথম ওভারেই রানআউট হতে পারতেন পাকিস্তানের ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। কিন্তু নন-স্ট্রাইক প্রান্তে নাজমুল হোসেন শান্তর থ্রো ভাঙতে পারল না স্টাম্প। আর বাংলাদেশের বোলাররাও এরপর পারেননি কোনো সুযোগ তৈরি করতে।

বেঁচে যাওয়ার পর ওই ওভারেই কভার দিয়ে চার মারলেন শফিক। সেটা ছিল পাকিস্তানের ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি। পরের দুই ওভারে কোনো বাউন্ডারি আসেনি। পঞ্চম ওভারে নিজের প্রথম বাউন্ডারি পেলেন আরেক ওপেনার ফখর জামান। পেসার তাসকিন আহমেদের বলে ৯৫ মিটার লম্বা বিশাল ছক্কা হাঁকালেন তিনি।

৬ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৮ রান। ক্রিজে আছেন শফিক ২০ বলে ১৫ রানে। ফখর খেলছেন ১৬ বলে ১১ রানে।

২০৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ

শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষেও মামুলি পুঁজি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাংলাদেশকে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগারদের সূচনাটাই ছিল বিবর্ণ। দলীয় ২৩ রানেই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। এরপর লিটন দাসের সঙ্গে জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু আরও একবার ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ লিটন। আর ফিফটির পর মাহমুদউল্লাহ বলি হন শাহিন শাহ আফ্রিদির অসাধারণ এক ডেলিভারির। এরপর অবশ্য মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে চেষ্টা চালান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাতে কোনোমতে দুইশ রান পার করে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৪৫.১ ওভারে ২০৪ (তানজিদ ০, লিটন ৪৫, শান্ত ৪, মুশফিক ৫, মাহমুদউল্লাহ ৫৬, সাকিব ৪৩, তাওহিদ ৭, মিরাজ ২৫, তাসকিন ৬, মোস্তাফিজ ৩, শরিফুল ১*; শাহিন ৩/২৩, ইফতিখার ১/৪৪, হারিস ২/৩৬, ওয়াসিম ৩/৩১, উসামা ১/৬৬)।

মোস্তাফিজের বিদায়ে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

আগের ওভারেই জোড়া ধাক্কা দেন মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। পরের ওভারে ফিরে আউট করেন শেষ ব্যাটার মোস্তাফিজুর রহমানকে। তার বলে অবশ্য ব্লক করতে চেয়েছিলেন এই ব্যাটার। তবে ব্যাটে লাগার পর পায়ে লেগে স্টাম্প ভাঙলে বোল্ড হয়ে যান মোস্তাফিজ। ৭ বলে ৩ রান করেন তিনি।

ওয়াসিমের জোড়া ধাক্কায় শেষের পথে বাংলাদেশ

৪৪তম ওভারে বল করতে এসে বাংলাদেশ শিবিরে জোড়া ধাক্কা দিয়েছেন পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম। প্রথম বলেই আউট করেন সেট ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজকে। রানের গতি বাড়াতে চেয়েছিলেন এই ব্যাটার। ওয়াসিমের লেংথ বলে হাঁকাতে গিয়ে ব্যাটের ভেতরের দিকের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৩০ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২ রান করেন মিরাজ।

আর তৃতীয় বলে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে তাসকিন আহমেদকেও তুলে নেন ওয়াসিম। তার ফুলার লেন্থের বল হালকা রিভার্স সুইং হলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান তাসকিন। ১৩ বলে ৬ রান করেন এই ব্যাটার।

৪৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২০১ রান। মোস্তাফিজুর রহমান ১ ও শরিফুল ইসলাম ০ রানে ব্যাটিং করছেন।

বাংলাদেশের দলীয় দ্বিশতক

দলীয় দুইশত রান পূরণ করেছে বাংলাদেশ। ২৫৮ বলে আসে বাংলাদেশি ডাবল সেঞ্চুরি। সাকিব আল হাসানের বিদায়ের পর তাসকিন আহমেদকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২০০ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৫ ও তাসকিন আহমেদ ৬ রানে ব্যাটিং করছেন।

সাকিবের বিদায়ে ভাঙল জুটি

দলীয় ১৪০ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন সাকিব। ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াকু পুঁজির আশা দেখাচ্ছিলেন তিনি। তবে হারিস রউফের বাউন্সারে পুল করতে গেলে টপ-এজ হয়ে মিড উইকেটে আঘা সালমানের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন টাইগার অধিনায়ক। ৬৪ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৪৩ রান করেন সাকিব।

এদিন উইকেটে নেমেই রানের জন্য হাঁসফাঁস করছিলেন সাকিব আল হাসান। প্রথম রান করতে খেলেন ৯টি বল। ২০ বলে তার রান ছিল ৬। মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার পর হাত খুলতে শুরু করেন তিনি। ইফতিখার আহমেদের করা ৩৭তম ওভারের প্রথম তিন বলে মারেন টানা তিনটি বাউন্ডারি।

৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৮৮ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৭ ও তাসকিন আহমেদ ৩ রানে ব্যাটিং করছেন।

আবারও ব্যর্থ তাওহিদ হৃদয়

উইকেটে নেমেই আগ্রাসী ঢঙ্গে ব্যাট চালাতে থাকেন তাওহিদ হৃদয়। নিজের দ্বিতীয় বলেই উসামা মীরকে দারুণ এক ছক্কা হাঁকান। পরের বলে মারতে গিয়েছিলেন আরও একটি। কিন্তু এবার ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো ইফতিখার আহমেদের হাতে। ১০ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ৭ রান করেন হৃদয়।

৩২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪১ রান। সাকিব ১৫ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১ রানে ব্যাটিং করছেন।   

শাহিনের শিকার হয়ে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ

ফিফটি করার পর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না চাপের মুখে প্রতিরোধ গড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দারুণ ছন্দে থাকা পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির স্বীকার হয়ে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড করে দিয়েছেন শাহিন। এরাউন্ড দ্য উইকেট এসে মিডল স্টাম্পে বল রেখেছিলেন তিনি। বল ভেতরের দিকে ঢুকবে বলেই ব্যাট চালিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্প ভাঙলে শেষ হয় ৭০ বলে ৫৮ রানের ইনিংস।

৩১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩৩ রান। সাকিব ১৪ ও তাওহিদ হৃদয় ১ রানে ব্যাটিং করছেন।  

মাহমুদউল্লাহর ফিফটি

দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার ২৮তম হাফসেঞ্চুরি। ৫৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। এ সময়ে ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে যেখানে দলের সব ব্যাটারই ব্যাট হাতে সংগ্রাম করছেন, সেখানে টাইগারদের হয়ে দারুণ ব্যাটিং করে চলেছেন তিনি। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।

দলীয় ২৩ রানে তিন উইকেট হারানোর পর মাঠে নামেন মাহমুদউল্লাহ। জুটি বাঁধেন লিটন দাসের সঙ্গে। ৭৯ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন তারা। এরপর লিটনের বিদায়ের পর সাকিবের সঙ্গে দলের হাল ধরেছেন এই ব্যাটার।

২৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১১৭ রান। মাহমুদউল্লাহ ৫২ ও সাকিব ৬ রানে ব্যাটিং করছেন।

লিটনের বিদায়ে ভাঙল জুটি

আরও একবার পুরনো রোগে পতন হলো লিটন কুমার দাসের। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকার মধ্যেই আলগা শটে উইকেট বিসর্জন দিয়ে এলেন এই ওপেনার। তাতে ভাঙল ৭৯ রানের জুটি। পার্ট-টাইম স্পিনার ইফতিখার আহেমদের বলে ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন লিটন। তবে শট কিছুটা আগেই করে ফেলেন তিনি। ফলে লিডিং-এজ হয়ে চলে যায় আঘা সালমানের হাতে। ৬৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪৫ রান করেন লিটন।

একই ওভারে দলীয় শতকও তুলে নেয় বাংলাদেশ। ২১তম ওভারের তৃতীয় বলে বাউন্ডারি মেরে দলীয় সেঞ্চুরি পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহ।

২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০২ রান। মাহমুদউল্লাহ ৪৬ ও সাকিব আল হাসান ও রানে ব্যাটিং করছেন।  

লিটন-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে পঞ্চাশ

প্রায় প্রতি ম্যাচেই ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাহমুদউল্লাহকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরে তুলে আনার পরামর্শ ছিল প্রায় সব ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। এমনকি পাকিস্তানি কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরামও এই নিবেদন করেছিলেন। এদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ নম্বরে নামেন তিনি। আর প্রোমোশন পেয়ে বিপদে থাকা বাংলাদেশ দলের হাল লিটন দাসকে নিয়ে ধরেছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। এরমধ্যেই এই জুটি পঞ্চাশ পার করেছে। ৬২ বলে এসেছে এই জুটির ফিফটি।

১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭৫ রান। মাহমুদউল্লাহ ৩১ ও লিটন ৩৩ রানে ব্যাটিং করছেন।

বাংলাদেশের দলীয় ফিফটি

শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দলীয় ২৩ রানেই হারায় মূল্যবান তিন উইকেট। তবে এরপর লিটন কুমার দাসের সঙ্গে দলের হাল ধরেছেন পাঁচ নম্বরে নামা মাহমুদউল্লাহ। এরমধ্যেই দলীয় ফিফটি তুলে নিয়েছে টাইগাররা। ৬৭ বলে আসে বাংলাদেশের দলীয় পঞ্চাশ।

১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫৬ রান। লিটন ২৮ ও মাহমুদউল্লাহ ১৮ রানে ব্যাটিং করছেন।

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৩ উইকেটে ৩৭ রান

আরও একবার পাওয়ার প্লে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এদিন প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান তুলতে পেরেছে টাইগাররা। দলীয় ২৩ রানেই প্রথম সারির তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। এরপর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন লিটন কুমার দাস।

মুশফিকের বিদায়ে বিপদে বাংলাদেশ

হারিস রউফের প্রথম দুই বলে দুটি দারুণ বাউন্ডারি মেরেছিলেন লিটন দাস। এরপর সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল করলে মুশফিকুর রহিমও বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন। তবে এর পরের বলেই পাল্টা আঘাত হানেন রউফ। তার লেন্থে রাখা বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা দিতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন মুশফিক। ৮ বলে ৫ রান করেন তিনি।

৬ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৩ রান। লিটন দাস ১৪ ও মাহমুদউল্লাহ ০ রানে ব্যাটিং করছেন। 

ব্যর্থতার বৃত্তেই শান্ত

০, ৭, ৮, ০ ও ৯। সব শেষ পাঁচ ম্যাচে এই স্কোর করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পাকিস্তানের বিপক্ষেও হতাশ করেছেন এই ব্যাটার। এদিন করলেন ৩ বলে ৪ রান। শাহিন শাহর করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন শান্ত। শর্ট মিড উইকেটে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন উসামা মীর। ফলে ব্যর্থতার বৃত্তেই থাকতে হচ্ছে শান্তকে।

তিন ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬ রান। লিটন দাস ২ ও মুশফিকুর রহিম ০ রানে ব্যাটিং করছেন।

তানজিদকে ফিরিয়ে শাহিন আফ্রিদির শততম উইকেট

ইনিংসের প্রথম ওভারেই ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। শাহিন শাহ আফ্রিদির করা প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে এলডিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে। তার লেংথ বলে লেগে ঘোরাতে গেলে লাইন মিস করেন এই তরুণ। ডিআরএসের সাহায্য নিয়েছিলেন তানজিদ। তবে লাভ হয়নি। রিপ্লেতে দেখা বল একেবারে স্টাম্পের বেলের কানা ছুঁলে আম্পায়ার্স কলে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। পাঁচ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি এই ওপেনার।

আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে এটা শাহিন শাহর শততম উইকেটে। ৫১ ম্যাচে এসে ১০০ উইকেট পেলেন তিনি। যা পাকিস্তানের পক্ষে দ্রুততম। আর সবমিলিয়ে তৃতীয়। মাত্র ৪২ ম্যাচে ১০০ উইকেট শিকারে দ্রুততম নেপালের সন্দীপ লামিচানে। আফগানিস্তানের রশিদ খান ১০০ উইকেট পান ৪৪ ম্যাচে। 

প্রথম ওভার শেষে ১ উইকেট হারালেও কোনো রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। লিটন দাস ০ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ০ রানে ব্যাটিং করছেন।

একাদশে ফিরেছেন তাওহিদ হৃদয়

ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে সবশেষ ম্যাচ থেকে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ দল। একাদশে নেই শেখ মেহেদী হাসান। তার জায়গায় ফিরেছেন তাওহিদ হৃদয়। বিশ্বকাপে এবার নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এই তরুণ। যে কারণে বাদ পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ একাদশ:

সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহিদ হৃদয় মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।

তিন পরিবর্তন পাকিস্তানের একাদশে

সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ থেকে তিনটি পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান দল। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন ফখর জামান। তার সঙ্গে আঘা সালমান ও উসামা মীরকে একাদশে এনেছে তারা। যদিও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সেদিন শাদাব খানের কনকাশন সাব হিসেবে খেলেছিলেন উসামা মীর। এই তিন খেলোয়াড়কে জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন ইমাম-উল-হক, মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাদাব খান।

পাকিস্তান একাদশ:

বাবর আজম (অধিনায়ক), আবদুল্লাহ শফিক, ফখর জামান, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইফতিখার আহমেদ, সাউদ শাকিল, আঘা সালমান, শাহিন শাহ আফ্রিদি, উসামা মীর, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও হারিস রউফ।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

টানা পাঁচ ম্যাচে হেরে খাঁদের কিনারে বাংলাদেশ। প্রায় একই অবস্থা পাকিস্তানেরও। টানা চার ম্যাচ হেরে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ের পথে তারাও। যদি কিন্তু সমীকরণে টিকে আছে দুই দলের আশা। এমন ম্যাচে টস ভাগ্য সঙ্গে গিয়েছে বাংলাদেশের। আগে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

টানা পাঁচ ম্যাচে হেরে খাঁদের কিনারে বাংলাদেশ। প্রায় একই অবস্থা পাকিস্তানেরও। টানা চার ম্যাচ হেরে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ের পথে তারাও। যদি কিন্তু সমীকরণে টিকে আছে দুই দলের আশা। এমন ম্যাচে টস ভাগ্য সঙ্গে গিয়েছে বাংলাদেশের। আগে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে শেষ তিন ম্যাচের মধ্যে অন্তত দুটি জয় দরকার বাংলাদেশের। পাকিস্তানের বিপক্ষে নামার আগে এটাই লক্ষ্য বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিবের, 'আমার চেয়েও বেশি পুরো দল কী করা উচিৎ সেটা নিয়ে কথা বলছে। আপনারার জানেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে হলে আমাদের জিততে হবে। এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটা লক্ষ্য আমাদের জন্য। সেই লক্ষ্য পূরণে জয় ছাড়া আমাদের আর কোন বিকল্প নেই।'

হাসিখুশি থাকার চেষ্টা টাইগারদের

টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে আত্মবিশ্বাস তলানিতে। সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন শেষ, এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগও হাতছাড়া হওয়ার পথে। এরমধ্যেও হাসিখুশি থাকার কথা বললেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, 'মাঝে মাঝে হাসিরও দরকার আছে।' বাংলাদেশ দলের এখন যা অবস্থা তাতে হাসির দরকারটা আসলে ভীষণ। সাকিব হাসলেন এবং হাসালেন মূলত এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে।

বাংলাদেশের মতো শেষ চার ম্যাচ হারের বৃত্তে পাকিস্তানও। দুই দলেরই করুণ অবস্থায় এক সাংবাদিক জানতে চাইলেন, পাকিস্তান টানা চার ম্যাচ হেরে আসায় এই দিক থেকে বাংলাদেশের সুবিধা কিনা। তার উত্তরে হাসতে হাসতে টাইগার অধিনায়ক বলেন,  'একই কথা তারাও বলতে পারে যে আমরাও পাঁচটা ম্যাচ হেরে বসে আছি। এটা ওদের এডভান্টেজ। কী বলব বলেন? (হাসি)।'

বাংলাদেশকে সমীহ করছে পাকিস্তান

এবার বিশ্বকাপে টানা হারের বৃত্তে আছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুই দলই। টানা চার ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান, টানা পাঁচ হার বাংলাদেশের। যদিও হারলেও লড়াই জমিয়েছিল পাকিস্তানিরা, সেমিফাইনালের দৌড় থেকে এখনো ছিটকে যায়নি তারা। সেই তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা আরও নাজুক। তবে প্রতিপক্ষকে ভীষণ সমীহ পাকিস্তান প্রধান কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্নের।

সংবাদ সম্মেলনে ব্র্যাডবার্ন বাংলাদেশকে ভীষণ সম্মান দেয়ার কথা জানালেন, আমরা বাংলাদেশকে বিশাল সম্মান করি। অনেক মান সম্পন্ন ক্রিকেটার আছে তাদের দলে। আমরা তাদের সম্ভাব্য দুর্বলতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব, জানার চেষ্টা করব তাদের শক্তি। আমরা বাংলাদেশ নিয়ে ভালোভাবে প্রস্তুত। আমরা আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স নিশ্চিত করার চেষ্টা করব।'

Comments

The Daily Star  | English

15pc VAT on Metro Rail: Quader requests PM to reconsider NBR’s decision

Dhaka is one of the most unliveable cities in the world, which does not go hand-in-hand with the progress made by the country, says the road transport and bridges minister

1h ago