আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরিতে চড়ে আফগানদের ২৯১ রানের সংগ্রহ

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে আফগানিস্তান

বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরিতে চড়ে আফগানদের ২৯১ রানের সংগ্রহ

ইব্রাহিম জাদরানের সেঞ্চুরি

সেঞ্চুরিহীন আগের দুই বিশ্বকাপ কাটিয়েছে আফগানিস্তান। না পাওয়ার অনেক আক্ষেপ এবারের বিশ্বকাপে ঘুচিয়ে দিচ্ছে আফগানরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরিও পেয়ে গেল তারা। ইব্রাহিম জাদরানের অপরাজিত ১২৯ রানের ইনিংসের সাথে রশিদ শেষে ঝড় তুলেন ১৮ বলে ৩৫ রান করে। তাদের ইনিংসে ভর করে বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ পেয়ে গেছে আফগানরা।

মুম্বাইয়ে অজিরা ৫ উইকেটে ২৯১ রানের আগে আটকাতে পারেনি আফগানিস্তানকে। মঙ্গলবার টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া আফগানিস্তান ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু করে। ছন্দে থাকা রহমানুল্লাহ গুরবাজের যদিও হুট করেই ছন্দপতন ঘটে। স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে গুরবাজ ফিরে যান ২৫ বলে ২ চারে ২১ রান করে। তার ওপেনিং সঙ্গী ইব্রাহিম জাদরানের অবশ্য দেখেশুনে খেলে যান। আফগানরা পাওয়ারপ্লে শেষ করে ৪৬ রানে।

ইব্রাহিম অতিরিক্ত ঝুঁকি না নিয়ে নিজের শক্তির জায়গায় থাকেন। স্ট্রাইক রোটেটের উপর গড়ে উঠা তার ইনিংসে বাউন্ডারিও আসে মাঝেমধ্যে। ৬২ বলে ফিফটি পূর্ণ করে ফেলেন এই ডানহাতি। ওয়ান ডাউনে নামা রহমত শাহ মন্থরগতিতে শুরু করেন। ২০.২ ওভারে তবু একশ পেরিয়ে যায় আফগানিস্তান। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অফ স্পিনেও তারা অতটা আগ্রাসী ভূমিকায় যাননি। শতরানের পর রানের গতি কমে আসে তাই কিছুটা। রহমত যখনই এরপর গিয়ার পাল্টাতে গেছেন, মরণ দেখা দেয় তাকে। ম্যাক্সওয়েলের বলে তুলে মারতে গিয়ে সোজা লং অফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪৪ বলে ৩০ রানে আউট হন রহমত।

১২১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো আফগানরা এগিয়ে যায় ইব্রাহিমের সাথে হাসমতউল্লাহ শহিদির জুটিতে। কিন্তু অধিনায়ক শহিদিকে অজিরা বেধে রাখে শর্ট বলের ঘেরাটোপে ফেলে। ৭৩ বলে পঞ্চাশের জুটি হয়ে যায় তাদের। কিছুটা ভোগান্তিতে থাকা শহিদি রানের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান স্টার্কের বলে। ৪৩ বলে ২৬ রানে শহিদি আউট হওয়ার পর আজমতউল্লাহ ওমরজাই এসে আক্রমণের রঙ মাখান আফগানিস্তান ইনিংসে। তৃতীয় বলেই স্টার্ককে মারেন ছক্কা, এরপর অ্যাডাম জ্যাম্পাকে আরেকটি ছক্কার সাথে দুটি চারও আসে তার ব্যাট থেকে। ৪১তম ওভারে দুইশ পেরিয়ে যায় আফগানরা। কিন্তু ১৭ বলে ২২ রানে থাকা ওমরজাই আবার মারতে যান, ধরা খেয়ে যান বাউন্ডারিতে।

একপাশে ইব্রাহিম খেলতে থাকেন সমানতালে। ৪৪তম ওভারে শতক পেয়ে যান ১৩১ বলে। প্রথম ফিফটির পর পরের পঞ্চাশ করতে ইব্রাহিম নেন ৬৯ বল। গিয়ার পাল্টে সেঞ্চুরির পর ৩ ছক্কায় ১২ বলে আনেন ২৯ রান। ১২ রানে মোহাম্মদ নবি ২৩৩ রানে দলকে রেখে চলে যাওয়ার পর আসেন রশিদ খান। ৩ ছক্কা ও ২ চারের সাথে খেলেন ১৮ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও। তাদের দুজনে মিলে শেষ চার ওভারে আনেন ৫৫ রান। শেষের ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া আফগান ইনিংসে শেষ দশ ওভারে আসে ৯৬ রান। ইনিংস উদ্বোধনে নামা ইব্রাহিম অপরাজিত থাকেন ১৪৩ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ১২৯ রানের ইনিংস খেলে।

Comments

The Daily Star  | English

Child rape cases rise nearly 75% in 7 months

Shows ASK data; experts call for stronger laws, protection

2h ago