আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

ইতিহাস নিয়ে ভেবে প্রোটিয়াদের পিছিয়ে রাখতে চান না কামিন্স

বৃহস্পতিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা।

ইতিহাস নিয়ে ভেবে প্রোটিয়াদের পিছিয়ে রাখতে চান না কামিন্স

ইতিহাস নিয়ে ভেবে প্রোটিয়াদের পিছিয়ে রাখতে চান না কামিন্স

'দক্ষিণ আফ্রিকার দৌড় সর্বোচ্চ সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত'- এই বাক্যটা প্রতি বিশ্বকাপেই সবচেয়ে বেশি শোনা যায়। আসলেই তো তাই, কখনোই বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল বাধা পেরুতে পারেনি প্রোটিয়ারা। দুবার সেমি তো হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। বারবার একই পরিণতির শিকার হওয়ায় 'চোকার্স' খেতাব পাওয়া দলের বিপক্ষে ম্যাচের আগেও এসব সমীকরণ মাথায় আনতে চান না অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

বৃহস্পতিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সাত বারের দেখায় দুই দলের পাল্লা সমান। দুই দলই জিতেছে তিনটি করে। একটি ম্যাচ হয়েছে টাই। ১৯৯৯ বিশ্বকাপ সেমির সেই আলোচিত টাইয়ের সুবিধা অবশ্য ভোগ করে ফাইনালে গিয়েছে অজিরাই।

১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর ২০০৭ বিশ্বকাপের সেমিতেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হতাশ হয়ে বিদায় নিতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। অথচ ২০১৯ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের জয়ের পর এবারও গ্রুপ পর্বের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

সেমির আগে নানান রকমের ইতিহাস এসে যখন হাজির। কামিন্স সেসবে একদম সায় দিতে চাইলেন না, 'আমার মনে হয় না খুব বেশি এসব গোনায় (ইতিহাস) ধরা যাবে। প্রতিটা ম্যাচই নড়বড়ে অবস্থা থেকে শুরু করতে হয়। তাদের দলের বিপক্ষে আমরা অনেক খেলেছি, অনেক ভালো জানি। বিশ্বকাপের আগে তারা আমাদের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে, সেটিও ছিলো ভিন্ন মঞ্চ।'

পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া নকআউট পর্বে সবচেয়ে সফল। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে তাদের স্নায়ু ভিন্ন পর্যায়ের। এটা অবশ্য বিনয় সরিয়ে মেনে নিলেন কামিন্স, 'আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও বিভিন্ন ধরনের টুর্নামেন্ট জিতেছি। কাজেই এটা আমাদের সাহায্য করবে।'

এরপরেই মনে করিয়ে দিলেন বারবার হয়নি বলে দক্ষিণ আফ্রিকার কোনদিন হবে না, এমনও না,  'আমরা ভাগ্যবান যে এরকম পরিস্থিতিতে কয়েকবার উৎরে গেছি। এসব আপনি মাথায় নিতে পারেন কিন্তু ইতিহাস কিছু নিয়ন্ত্রণ করেও না। তাদের জন্য হয়ত বিশ্বকাপ কঠিন ছিল, যা চেয়েছিল পায়নি। কিন্তু তারা সেটা অর্জন করার মতন দল।'

খেলার আগের দিন সকাল বেলা সংবাদ সম্মেলন করতে এসে উইকেট দেখে যান কামিন্স। সন্ধ্যায় তারা আসেন ঐচ্ছিক অনুশীলন করতে। উইকেটে স্পিনারদের সাহায্য দেখছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। তাতেও কাউকে এগিয়ে রাখার উপায় নেই,  'উইকেটের ব্যাপারে বলব হয়ত একটি মন্থর হবে, স্পিনারদের সাহায্য থাকবে। যেটাও আসলে দুই দলের জন্য সমান। এটা ভিন্ন রকমের এক লড়াই। একদম সমান-সমান লড়াই হবে আসলে।'

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

13h ago