প্যারিস অলিম্পিক

সবার শেষে দৌড় শেষ করেও 'বিজয়ীর সংবর্ধনা'!

দৌড় না, শেষ দিকে হাঁটছিলেন কিনজাং লামো। তাকে যেন গার্ড দিয়ে আগাচ্ছিল বেশ কিছু গাড়ি, মোটর সাইকেল এমনকি সাইকেলও। আর প্যারিসের দর্শকরা আছেন তার অপেক্ষায়। হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানাতে থাকেন। উৎসাহ পেয়ে আবার দৌড় শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত রেস শেষ করেন। তবে সবার শেষে!

ঘটনাটি ঘটেছে আগের দিন প্যারিস অলিম্পিকের শেষ ইভেন্ট মেয়েদের ম্যারাথনে। যেখানে ছিলেন মোট ৯১ জন অ্যাথলেট। তবে দৌড় শেষ করেছেন মোট ৮০ জন। ১১ জন দৌড় শেষ করতেই পারেননি। আর ৮০তম হয়েছেন ভুটানের এই অ্যাথলেট লামো। তাতেই তাকে অভিবাদন জানিয়েছেন হাজারো দর্শক।

মেয়েদের ম্যারাথনে এদিন সোনা জিতেছেন নেদারল্যান্ডসের সিফান হাসান। তিনি যখন দৌড় শেষ করেন তখন ধরতে গেলে মাঝপথে ছিলেন লামো। একেবারে শেষে। এক ঘণ্টার মধ্যে সঙ্গী সবাই দৌড় শেষ করেন। আর যারা না পেরেছেন, তারা একে একে দৌড় থামিয়ে দেন। কিন্তু লামো থামেননি।

লামোর আগে যে দৌড় শেষ করেছেন, অর্থাৎ ৭৯তম হওয়া নেপালের সন্তসিও পৌঁছেছেন লামো ৫৭ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড আগে। অর্থাৎ শেষদিকে প্রায় একাই এক ঘণ্টা দৌড়েছেন এই অ্যাথলেট। আর এ সময় তাকে উৎসাহ দিতে চিৎকার করতে থাকেন দর্শকরা। অনেক দর্শক সাইকেল চালিয়ে শেষ কয়েক কিলোমিটার তাকে সঙ্গ দেন। লামোকে এমনভাবে সংবর্ধনা দিতে থাকেন যেন বিজয়ী তিনি। অনেকে কুর্নিশও করেন।

স্বাভাবিকভাবেই লামোর দৌড় শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন আয়োজকরা। অপেক্ষা করেন দর্শকরাও। শেষ পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা ৫২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে ম্যারাথন শেষ করেন ভুটানের এই অ্যাথলেট। তার দৌড় শেষ করার বেশ কিছু ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল।

দৌড় শেষ করার পর লামো বলেছেন, 'আমার প্রথম লক্ষ্য ছিল ম্যারাথন সম্পূর্ণ করা এবং এরপরে নিজের ব্যক্তিগত রেকর্ড ভাঙা। আমার দেশ (ভুটান) আমাকে দৌড় শুরু করার জন্য ৫০০০ মাইল দূরে পাঠায়নি। তারা আমাকে দৌড় শেষ করতে পাঠিয়েছিলেন।'

Comments