শঙ্কা উড়িয়ে সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কা

kusal mendis

মন্থর শুরুর পর মাঝের ওভারে একাধিক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সেই চাপ দূর করেন কুশল মেন্ডিস। তার দারুণ ইনিংসের পর ভানুকা রাজাপাকসের ছোট্ট ক্যামিওয়েতে শক্ত পুঁজি পেয়ে যায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। বোলিংয়ে ভানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহেশ থিকসেনাদের মুন্সিয়ানার মাঝে জবাব দিতে গিয়ে ওপেনার ম্যাক্স ও'ডাউড ঝাঁজ দেখালেও শেষ পর্যন্ত কুল কীনারা হয়নি। নামিবিয়ার কাছে হেরে শঙ্কায় পড়লেও তাই ঠিকই সুপার টুয়েলভের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছে ২০১৪ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা।

বৃহস্পতিবার জিলংয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের 'এ' গ্রুপ শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ১৬ রানের ব্যবধানে হারায় দাসুন শানাকার দল। আগে ব্যাট করে মেন্ডিসের ৪৪ বলে ৭৯ রানের ইনিংসে স্কোর  বোর্ডে ১৬২ রানের পুঁজি পেয়েছিল লঙ্কানরা। জবাব দিতে গিয়ে ও'ডাউডের ৭১ রানের ইনিংসে ১৪৬ পর্যন্ত যেতে পারে ডাচরা।

সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত হলেও গ্রুপের অবস্থান এখনো ঠিক হয়নি। নামিবিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ম্যাচের পর বোঝা যাবে সুপার টুয়েলভে কোন গ্রুপে যাচ্ছে লঙ্কানরা। নেদারল্যান্ডের সুপার টুয়েলভে যাওয়ার পথও ঝুলে আছে ওই ম্যাচে। আমিরাত যদি নামিবিয়াকে হারাতে পারে তবে ডাচরা ভাসবে উৎসবে। উল্টোটা হলে আমরস্টারডমের পথ ধরতে হবে স্কট এডওয়ার্ডের দলের।

রান তাড়ায় বেশিরভাগ সময়ই ম্যাচে ছিল না নেদারল্যান্ডস। চতুর্থ ওভারে বিক্রমজিত সিংকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন থিকসেনা। তিনে নেমে বাস ডি লিড শুরুটা পেলেও বাড়তে পারেননি। তাকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান লাহিরু কুমারা।

খানিক পর কলিন আকারম্যানকে তুলে নেন হাসারাঙ্গা। ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পাশাপাশি রানের চাকাও মন্থর হয়ে যায় তাদের।

টপ কুমার নেমে থিতু হতে নেন বাড়তি সময়। মাঝের ওভারে ডট বলের চাপ আর পুষাতে পারেননি। ১৯ বলে ১৬ করে তিনি বোল্ড হন থিকসেনার অফ স্পিনে।

অধিনায়ক এডওয়ার্ড দেখাচ্ছিলেন আশা। ও'ডাউডের সঙ্গে তার সম্ভাবনাময় জুটি থেমে যায় ১৮ বলে ২৮ রানে। বাঁহাতি পেসার বিনুরা ফার্নেন্দোর বলে বোল্ড হন এডওয়ার্ডস।

টিম প্রিঙ্গেল খানিক পর হন রানআউট। টিম ভ্যান ডের গুটেন ও ফ্রেড ক্লাসেনকে পর পর তুলে নেন হাসারাঙ্গা। ম্যাচ তখন আনুষ্ঠানিকতার দিকে।

ওই অবস্থায় রোমাঞ্চকর কিছু শটে খানিকটা উত্তাপ ছড়ান  ও'ডাউড। তবে বলে-রানের তফাৎ ছিল বেশ খানিকটা। যা আর পুষানো হয়নি তাদের।  ৫৩ বলে ৬ চার, ৩ ছক্কায়  ও'ডাউড অপরাজিত থাকেন ৭১ রানে।

টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে  উড়ন্ত শুরু পায়নি শ্রীলঙ্কা। পাওয়ার প্লেতে আসেনি জুতসই রান। পাওয়ার প্লের ঠিক পরের ওভারে ফেরেন ধুঁকতে থাকা আগের ম্যাচের হিরো পাথুম নিশানকা। ২১ বল খেলে কেবল ১৪ রান করে লড়াই থামান তিনি।

৩৬ রানে প্রথম উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা পরের বলেই হারিয়ে গেলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে। পল ভ্যান ম্যাকক্রিনের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। চারে নেমে চারিথা আসালাঙ্কা ডানা মেলতে পারছিলেন না। ডট বলের চাপও ভুগান্তিতে ফেলছিল তাকে

থিতু হয়ে যখনই পোষাতে যাবেন তখনই বিদায়। ৩০ বলে ৩১ রান করে আউট হয়েছেন বাস ডি লিডের বলে। এক প্রান্ত টিকে ছিলেন মেন্ডিস। স্লগ ওভারেও তিনিই তুলেন ঝড়। রাজাপাকসে ১৩ বলে ১৯ করে ফেরার পরও চালিয়ে যান মেন্ডিস। একদম শেষ ওভারে ছক্কার চেষ্টায় ফেরার আগে দলকে দিয়ে যান নিরাপদ ঠিকানা। এমন নৈপুণ্যে পরে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

New polls timing: BNP upbeat, process irks Jamaat, NCP

The interim government’s revised election timeline with certain conditions has stirred cautious optimism as well as raised questions among  political parties.

9h ago