নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যত তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো অস্ট্রেলিয়ার
শিরোপাধারী অস্ট্রেলিয়া বাজেভাবে হেরে শুরু করল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। নিজেদের মাটিতে আসরের সুপার টুয়েলভের উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না তারা। একপেশে লড়াইয়ে দুটি বিব্রতকর অভিজ্ঞতার স্বাদও নিতে হলো অ্যারন ফিঞ্চের দলকে।
সিডনিতে সুপার টুয়েলভের এক নম্বর গ্রুপের ম্যাচে শনিবার কিউইরা জিতেছে ৮৯ রানে। টস হেরে আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২০০ রানের বিশাল পুঁজি পায় তারা। ম্যাচসেরা ডেভন কনওয়ে খেলেন ৫৮ বলে অপরাজিত ৯২ রানের আগ্রাসী ইনিংস। ফিন অ্যালেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে করেন ১৬ বলে ৪২ রান। জবাবে ১৭ বল বাকি থাকতে অজিরা গুটিয়ে যায় মাত্র ১১১ রানে। তাদের কুপোকাত করতে পেসার টিম সাউদি ও স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ৩টি করে উইকেট নেন।
এই জয়ে শেষ হলো নিউজিল্যান্ডের দীর্ঘ অপেক্ষার পালা। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১১ বছর পর কোনো ম্যাচ জেতার স্বাদ পেল তারা। সবশেষ ২০১১ সালে হোবার্ট টেস্টে স্বাগতিকদের হারিয়েছিল তারা। মাঝে ক্রিকেটের বিভিন্ন সংস্করণ মিলিয়ে ১২ ম্যাচ খেলে ১১টিতেই হার মানে নিউজিল্যান্ড। তারা ড্র করতে পারে বাকিটিতে।
রানের হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটাই অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় হার। এর আগে ২০১২ সালের আসরে কলম্বোয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে তারা হেরেছিল ৭৪ রানে। তাছাড়া, ২০১৪ বিশ্বকাপে মিরপুরে ভারতের কাছে ৭৩ রানে হারার নজির আছে তাদের।
টি-টোয়েন্টিতে ঘরের মাঠে সবচেয়ে কম দলীয় সংগ্রহের অভিজ্ঞতা হলো অস্ট্রেলিয়ার। এর আগে এই সংস্করণে নিজেদের মাঠে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার তিক্ত স্বাদ তাদের দিয়েছিল পাকিস্তান। ২০১১ সালে মেলবোর্নে ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল অজিরা।
Comments