কারানের রেকর্ডে আফগানদের হারিয়ে ইংল্যান্ডের শুভ সূচনা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রথম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নিলেন স্যাম কারান। এই বাঁহাতি পেস অলরাউন্ডারের রেকর্ডে আফগানিস্তান গুটিয়ে গেল অল্পতে। কোনো রকমে একশ ছাড়ানো পুঁজি নিয়ে লড়াই করলেও জয় থাকল তাদের নাগালের বাইরে।
পার্থে সুপার টুয়েলভের এক নম্বর গ্রুপের ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করে ৫ উইকেটে জিতেছে ইংলিশরা। জস বাটলারের দল ১১৩ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় ১০ বল হাতে রেখে। ফলে এবারের আসরে শুভ সূচনা করেছে শিরোপাপ্রত্যাশী দলটি।
ম্যাচসেরা কারান ৩.৪ ওভারে শিকার করেন ৫ উইকেট। সেজন্য তিনি খরচ করেন মাত্র ১০ রান। ১৬টি ডট বল দেওয়ার পাশাপাশি কেবল একটি বাউন্ডারি হজম করেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে বেন স্টোকস ও মার্ক উড ২টি করে উইকেট পান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। উডের গতিতে পরাস্ত হয়ে উইকেটরক্ষক বাটলারের হাতে ক্যাচ দেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আরেক ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ধুঁকছিলেন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারে তাকে তুলে নেন স্টোকস। ১৭ বল খেলে ৭ রান করেন তিনি।
২৪ রানের এই জুটি ভাঙার পর নাজিবউল্লাহ জাদরান ও উসমান ঘানি জোট বাঁধেন। কিন্তু শুরু থেকেই শ্লথ থাকা রানের চাকা সচল হয়নি। ইব্রাহিমকে ফিরিয়ে উইকেট উৎসবে যোগ দেন কারান। ৩২ বলে ৩২ রান আসে ইব্রাহিমের ব্যাট থেকে। থামে ২৮ বলে ২৭ রানের জুটি।
নাজিবউল্লাহ জাদরানকে বিপজ্জনক হতে দেননি স্টোকস। বাটলার-উডের আরেকটি যুগলবন্দিতে দ্রুত ফেরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। তবে একপ্রান্ত আগলে থাকা আহমদউল্লাহ ওমারজাইকে নিয়ে ফের জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ঘানি।
এরপর শুরু হয় কারানের জাদু। মাত্র ১২ বলে ৩ রান তুলতে ইনিংসের পরের ৫ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। যার মধ্যে ৪টিই নেন কারান। ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে ওমারজাই ও রশিদ খানকে সাজঘরে পাঠিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি।
১৯তম ওভারে মুজিব উর রহমান ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হন ক্রিস ওকসের বলে। এরপর শেষ ওভারে আবার জোড়া শিকার ধরেন কারান। বড় শট খেলতে গিয়ে লিয়াম লিভিংস্টোনের তালুবন্দি হন ঘানি। তিনি করেন ৩০ বলে ৩০ রান। ফজলহক ফারুকির তোলা ক্যাচ হাতে জমান ডাভিড মালান।
জবাব দিতে নেমে বরাবরের মতো ঝড়ো ব্যাটিং উপহার দিতে পারেনি ইংল্যান্ড। ফারুকি, রশিদ, মুজিব ও নবি আঁটসাঁট বোলিংয়ে ম্যাচ টেনে নেন ১৯তম ওভার পর্যন্ত। কিন্তু শেষ হাসি হাসতে আরও অসাধারণ কিছু করে দেখাতে হতো তাদের।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে সীমানার কাছে ধরা পড়েন বাটলার। ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে তার অবদান ১৮ বলে ১৮ রান। তিন বল আগেই অবশ্য উল্লাস করতে পারত আফগানরা। কিন্তু ফারুকির বলে অ্যালেক্স হেলসের ক্যাচ ফেলে দেন কাইস আহমেদ।
অষ্টম ওভারে আবার বেঁচে যান হেলস। এবারে কাঠগড়ায় স্বয়ং অধিনায়ক নবি। কিন্তু দুবার বেঁচে গিয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি হেলস। ২০ বলে ১৯ রান করে ফরিদ আহমেদের শিকার হন তিনি।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের ধারা চলতে থাকে। এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টোকস হন বোল্ড। তার উইকেট শিকারের পর দারুণ ক্যাচে মালানকে বিদায় করেন নবি। ৩০ বলের ধীরগতির ইনিংসে মালানের সংগ্রহ ১৮ রান।
হ্যারি ব্রুককে ছেঁটে উইকেটের দেখা পান রশিদ। তখন ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৯৭ রান। কিন্তু চাহিদা কম থাকায় বাকি পথ পাড়ি দিতে চাপে পড়তে হয়নি তাদেরকে। লিভিংস্টোন ২৯ বলে ২১ ও মঈন আলি ১০ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
Comments