ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নায়ক তাসকিন

পুঁজি যখন খুব বেশি নয়, ম্যাচ জিততে তাই শুরুতেই চাই উইকেট। তাসকিন আহমেদ এই দাবি মেটাতে মোটেও দেরি করলেন না। বল হাতে নিয়ে প্রথম দুই বলেই যেন গড়ে দিলেন ফল। দারুণ বল করে এই পেসার তুললেন ৪ উইকেট। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে বিশ্বকাপের মূল আসরে জয় খরা ঘোচাল বাংলাদেশ।
হোবার্টে নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারাতে তাসকিন ছিলেন সবচেয়ে ঝাঁজালো। ৪ ওভার বল করে ২৫ রান দিয়ে তুলেছেন ৪ উইকেট। বাংলাদেশের ১৪৪ রানের জবাবে তাই ১৩৫ রানে আটকে যায় ডাচরা।
ইনিংসের একদম প্রথম বলে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বিক্রমজিত সিংয়কে জন্য আউটস্যুয়িং ডেলিভারি দেন তাসকিন। ব্যাট চালিয়ে প্রথম স্লিপে ইয়াসির আলি রাব্বির হাতে জমা পড়েন এই ব্যাটার।
দারুণ ছন্দে থাকা ডাচ ব্যাটার বা ডি লিডকে পেয়েও একই ফরমুলা নেন তাসকিন। ডানহাতি লিডের বলটিও দেন বেরিয়ে যাওয়া। বলের কাছে না গিয়ে ব্যাট ছুঁইয়ে কিপারের গ্লাভসে জমা দেন লিড।
শুরুতেই কাবু হয়ে যাওয়া ডাচরা এরপর দুই রান আউটে ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়ে। তাসকিন আবার ১৭তম ওভারে শেষে তাদের চলার পথ আরও বন্ধ করে দেন। তাসকিনের বলে থার্ডম্যানে ক্যাচ দেন শারিজ আহমেদ। ওই ওভারের পঞ্চম বলে ম্যাচে সর্বোচ্চ রান করা কলিন আকারম্যানকেও ফেরান তিনি। ফিফটি করা আকারম্যান পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ডিপ স্কয়ার লেগে। নিজের স্পেলের শেষ বলটাতেও উইকেট পেতে পারতেন তাসকিন। হতে পারত ৫ উইকেট।
তার করা দারুণ ইয়র্কার ডাচ টেল এন্ডার কোনমতে ব্যাট লাগিয়ে রক্ষা পান, উল্টো হয়ে যান বাউন্ডারি।
২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ক্যারিয়ারের শুরুর সময়টায় দারুণ বল করে সাড়া জাগিয়েছিলেন তাসকিন। এবার সেই অস্ট্রেলিয়ার মাঠেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার যাত্রা হয়েছে রঙিন। এই ছন্দ টুর্নামেন্ট জুড়ে ধরে রাখতে চান তিনি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই পেসার জানান, তার লক্ষ্য ক্রমাগত উন্নতি করে যাওয়া। ঘাটতির জায়গাগুলো দূর করে বিশ্বকাপে বড় কিছু করা।
Comments