নেদারল্যান্ডসকে অনায়াসে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রথম জয়

ভারত ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওভারে অমন হারের ধাক্কা কাটাতে জিততে মরিয়া ছিল পাকিস্তান। অবশেষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের দেখা পেল বাবর আজমের দল। নেদারল্যান্ডসকে অল্প রানে বেঁধে ফেলার কাজটা করেছিলেন বোলাররাই, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাকিদের ছোট ছোট অবদানে সেই লক্ষ্য পাড়ি দিতে একদমই বেগ পেতে হয়নি পাকিস্তানকে।

রোববার পার্থে দুই নম্বর গ্রুপের খেলায় নেদারল্যান্ডসকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে বাবর বাহিনী। সপ্তমবারের চেষ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের স্বাদ পেল পাকিস্তান।

টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ভরাডুবির শিকার হয় ডাচরা, শাদাব খান ও মোহাম্মদ ওয়াসিমের বোলিং তোপে ৯ উইকেট হারিয়ে টেনেটুনে ৯১ রান করতে সক্ষম হয় স্কট এডওয়ার্ডসের দল। ৪৯ রান করে রান তাড়ার নেতৃত্ব দেন রিজওয়ান। শেষদিকে তাকে ও শান মাসুদকে হারালেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ইফতিখার আহমেদ ও শাদাব খান। লেগ স্পিনে ২২ রানে ৩ উইকেট নেওয়ায় শাদাবই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। 

এবারের বিশ্বকাপে এমনিতেও রান নেই বাবরের ব্যাটে। ৯২ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সুযোগ ছিল ম্যাচ শেষ করে আসার। কিন্তু দলীয় ১৬ রানে ভ্যান ডার মারউইয়ের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরে যান পাক অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে পাঁচ বলে চার রান করেন তিনি।

 ফখর জামান ও রিজওয়ানের ব্যাটে নিরাপদেই এগিয়ে চলছিল পাকিস্তান, কিন্তু বাধ সাধেন ব্রেন্ডল গ্লোভার। অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে পড়েন ২০ রান করা ফখর। রিজওয়ান অবশ্য ধরে রাখেন হাল। অনায়াসে জেতার দিকে এগিয়ে যান। তবে ফিফটি করতে পারেননি, পল ভ্যান মিকারেনের শিকার হয়ে। উইকেটের পিছনে তার দুর্দান্ত ক্যাচ নেন অধিনায়ক এডওয়ার্ডস, এক রানের আক্ষেপে পোড়েন পাকিস্তান উইকেটরক্ষক।

বাকি সময়ে শান মাসুদ (১২) ও ইফতিখার আহমেদের (৬*) কল্যাণে স্কোর সমান করে পাকিস্তান। তখন জিততে প্রয়োজন কেবল এক রান। এমন মুহূর্তেও সাফল্য পায় নেদারল্যান্ডস, গ্লোভারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান শান। শেষ পর্যন্ত চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন শাদাব।

এর আগে ব্যাট হাতে শুরুতেই বিপাকে পড়ে ডাচ বাহিনী। দ্বিতীয় ওভারেই স্টিফেন মাইবার্গ ফিরে যান শাহিন আফ্রিদির শিকার হয়ে। আউট হওয়ার আগে মাত্র ছয় রান করেন তিনি। খানিক পর দুর্ভাগ্যের কবলে পড়েন ওয়ান ডাউনে নামা বাস ডি লিড, হারিস রউফের ১৪২ কিলোমিটার গতির বাউন্সার হেলমেটে লেগে নাক কেটে যায় তার। ১৬ বলে ৬ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে শাদাব ফেরান ম্যাক্স ও'ডাউড (৮) ও টম কুপারকে (১)। মাত্র ২৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে নেদারল্যান্ডস। কলিন অ্যাকারম্যান ও অধিনায়ক এডওয়ার্ডসের ৩৭ বলে ৩৫ রানের জুটি কেবল উইকেট পতনই ঠেকিয়েছে ডাচদের। ১৫তম ওভারে দলীয় ৬১ রানে অ্যাকারম্যানের (২৭) বিদায়ের পর আশা যাওয়ার মিছিলে লিপ্ত হয়ে পড়েন বাকিরা।

পরের ওভারে ১৫ রান করে ফিরে যান এডওয়ার্ডসও। পরে আর কেউ বলার মতো কিছু না করতে পারলে ৯১ রানে থামে ডাচদের ইনিংস।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

14h ago