এখন আর প্রতিবাদ করে লাভ নেই: জালাল ইউনুস
ভারতের বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। রোমাঞ্চকর ম্যাচটির কিছু ঘটনা নিয়ে আবার তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ভারতের তারকা বিরাট কোহলির বিপক্ষে 'ফেক ফিল্ডিংয়ের' অভিযোগও তুলেছে বাংলাদেশ দল। আইসিসির আগামী বোর্ড সভায় এই বিষয়টি উত্থাপন করার কথা জানিয়েছেন বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান জালাল ইউনুস।
আগের দিন বুধবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে ভারতের কাছে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে অ্যাডিলেড ওভালে ১৮৫ রানের বড় লক্ষ্য দেয় রোহিত শর্মার দল। জবাবে লিটন দাসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ ওভারেই বিনা উইকেটে ৬৬ রান তুলে ফেলে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর বৃষ্টির কারণে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকলে ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে টাইগারদের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৫১ রানের।
বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হবার আগের ওভারটি করেছিলেন ভারতের স্পিনার আকসার প্যাটেল। সেই ওভারের দ্বিতীয় বলটি অফ সাইডে ঠেলে দিয়ে দুই রান নেন লিটন। পয়েন্টে থাকা কোহলি আটকাতে পারেননি বল। তবে ক্রিকেটের আইন বহির্ভূত একটি কাজ করে বসেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। আর্শদীপ সিং সীমানার কাছ থেকে বল ধরে উইকেটরক্ষকের দিকে থ্রো করেন। সেসময় কোহলিকে দেখা যায় রিলে থ্রো ধরে বোলারের প্রান্তে থ্রো করার ভান করতে, যা 'ফেক ফিল্ডিং'। তার ওই ভঙ্গির মুহুর্তের মধ্যে রান সম্পূর্ন করে নেন ব্যাটাররা। এই ভঙ্গির ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ফিল্ডিং দল কোন সুবিধা পায়নি।
আইসিসির আইন অনুযায়ী ব্যাটার বল মোকাবিলা করে ফেলার পর কোনো ফিল্ডার ইচ্ছাকৃতভাবে কথা বা অন্য কোনো উপায়ে তার মনোযোগ নষ্ট কিংবা বাধা দিতে পারবে না। কিন্তু কোহলি থ্রোয়ের ভান করেছিলেন। ফলে শাস্তিস্বরূপ অতিরিক্ত ৫ রান যোগ হতে পারত বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। তবে ক্রিজে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত 'ফেক ফিল্ডিংয়ের' ব্যাপারে আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলেও তারা ভ্রুক্ষেপ করেননি।
ম্যাচের পর গণমাধ্যমের কাছে নুরুল হাসান সোহান অভিযোগ করে বলেন, 'এটা ৫ রানের শাস্তি হতে পারত। সেটা আমাদের পক্ষেই যেত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা করা হয়নি।'
আগামী সপ্তাহে মেলবোর্নে আইসিসির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে সুযোগ পেলে বাংলাদেশ এই ইস্যু তুলবে বলে বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান জালাল, 'যখনই সুযোগ পাব, আমরা ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করব। এটা কোনো প্রতিবাদ নয়। কারণ, এটা করে এখন আর কোনো লাভ নেই।'
Comments