এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে বাংলাদেশের 'সেরা' বললেন শ্রীরাম

বড় কোনো প্রত্যাশা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় না গেলেও পরিসংখ্যানের বিচারে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই বাংলাদেশের ইতিহাসের সফলতম আসর।
Taskin Ahmed
ছবি: বিসিবি

সুপার টুয়েলভে এবার দুটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ দল। ফলে বড় কোনো প্রত্যাশা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় না গেলেও পরিসংখ্যানের বিচারে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই বাংলাদেশের ইতিহাসের সফলতম আসর। দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামের মুখেও শোনা গেল সেই অর্জন নিয়ে বন্দনা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুই নম্বর গ্রুপের সুপার টুয়েলভে আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি আছে বাংলাদেশের। আগামীকাল রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে অ্যাডিলেডে খেলতে নামবে তারা। তবে এবারের আসরটি টাইগারদের ইতিহাসের সফলতম বিশ্বকাপের তকমা পেয়ে গেছে তৃতীয় ম্যাচেই। কারণ, ১৫ বছর পর বিশ্বকাপের মূল পর্বে জয়ের দেখা পাওয়ার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো একাধিক জয়ের স্বাদ মিলেছে তাদের।

মূল পর্বে এবার তুলনামূলক দুর্বল নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচই ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। তাছাড়া, ভারতের সঙ্গে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ডিএলএস পদ্ধতিতে মাত্র ৫ রানে হার মানতে হয় সাকিব আল হাসানের দলকে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ দল ছিল একেবারেই সাদামাটা। ব্যাটে-বলে নাজুক পারফরম্যান্সে টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসেবে (১০৪) নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারতে হয় তাদের।

কষ্টার্জিত হলেও নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়ে মিলেছে স্বস্তি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে নাস্তানাবুদ হওয়া ও ভারতের বিপক্ষে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও পরাস্ত হওয়ায় থেকে গেছে পুরনো হতাশা ও শঙ্কা। তাই বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতিবাচক ভাবনাগুলোও ঝেড়ে ফেলা যাচ্ছে না।

পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার আগে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে শ্রীরাম বলেন, নিজেদের অর্জন নিয়ে ক্রিকেটারদের গর্বিত হওয়া উচিত, 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটাই বাংলাদেশের সেরা আসর। বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনও মূল পর্বে দুটি ম্যাচে জেতেনি দল। আমরা সেটা করেছি। আমার মনে হয়, ছেলেদের নিজেদের নিয়ে গর্ব করা উচিত।'

শ্রীরামের দৃষ্টিতে, এবার থেকে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের নতুন পথচলা শুরু হয়েছে, 'এটা নতুন শুরু। আমি জানি না আগে কী হয়েছে। সেখানে ছিলামও না। নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দুটি ম্যাচে আমরা জিতেছি। আরেকটি ম্যাচে ভারতের কাছে একইভাবে হেরে গেছি। তবে সেটা হয়ই। আমি এটাকে একদম নতুন শুরু হিসেবেই দেখছি। আমি অতীত নিয়ে থাকি না, অতীতে ছিলাম না। তাই মন্তব্য করতে পারব না।'

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago