দ.আফ্রিকাকে বিদায় করে নেদারল্যান্ডসের চমক, সেমির স্বপ্ন বাড়ল বাংলাদেশের

শুরুর দিকে গ্রুপের সেরা দল ছিল তারা। শেষ ম্যাচে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসকে হারালেই এক নম্বরে থেকে সেমিফাইনালে উঠত দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু পারল না টেম্বা বাভুমার দল, আরও একবার বিশ্ব আসরের নকআউট হয়ে পড়া ম্যাচে  চেপে ভেঙে পড়ল প্রোটিয়ারা। নেদারল্যান্ডসের বিস্ময়কর জয়ে সেমিফাইনালে যেতে সমীকরণ সহজ হয়ে গেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। বৃষ্টি না হলে এই ম্যাচের জয়ী দলই ভারতের সঙ্গে পা রাখবে শেষ চারে। বৃষ্টি হলে নেট রানরেটের সুবিধায় পাকিস্তান চলে যাবে সেমিতে।

রোববার অ্যাডিলেডে নেদারল্যান্ডসের কাছে ১৩ রানে হেরে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে করে তারা বিদায় নিয়েছে। আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান করেছিল ডাচরা। জবাবে ৮ উইকেটে ১৪৫ রান করে বাভুমার দল। তাদের হারে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে ভারতের। বাকি সেমিফাইনালিষ্ট ঠিক হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে। 

ম্যাচ জিততে শেষ ৫ ওভারে দরকার ছিল ৪৮ রান। হাতে ৬ উইকেট থাকায় সমীকরণ অতটা কঠিনও ছিল না। বিশেষ করে যখন ডেভিড মিলারের মতো ব্যাটার ক্রিজে থাকেন তখন কাজটা আরও সহজ হওয়ার কথা। সেই মিলারই যে পারলেন না কাজটা সারতে। ১৬তম ওভারে ব্র্যান্ডন গ্লোভারের বলটা উড়াতে গিয়ে টাইমিং গড়বড় করলেন। শর্ট ফাইন লেগে ভ্যান ডার মারউই নিলেন অসাধারণ ক্যাচ। ম্যাচের গতিপথও যেন ঠিক হয়ে গেল তাতে। 

দুই বল পরই ওয়েইন পারনেল ধরা দিলেন উইকেটের পেছনে। ভয় ঝেঁকে বসল প্রোটিয়াদের। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দলও তখন যেন আশায় বুক চওড়া। পরের ওভারে ভ্যান ভিক এসে দিলেন মাত্র ৩ রান। বেড়ে গেল চাপ। সেই চাপে কাবু হয়ে বাস ডি লিডের বলে বিদায় নেন শেষ ভরসা হেনরিক ক্লাসেন। কেশব মহারাজ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আর কোন ব্যাটার না থাকায় তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। 

১৫৯ রান তাড়ায় গিয়ে দুই ওপেনার কুইন্টেন ডি ও টেম্বা বাভুমা আনেন জুতসই শুরু। কিন্তু সেটাকে বড় করতে পারেননি তারা। চার-ছক্কায় শুরু করা ডি কক ফ্রেড ক্লাসেনের বলে ধরা দেন উইকেটের পেছনে। থিতু হয়ে বিদায় নেন বাভুমা। প্রোটিয়া অধিনায়ক বোল্ড হন ভ্যান মিক্রিনের বলে। 

পাওয়ার প্লের মধ্যে দুই উইকেট হারালেও রাইলি রুশোর অনায়াসে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। এই ম্যাচ নিয়ে খুব একটা সংশয়ের জায়গা ছিল না। ছন্দে খেলছেন এইডেন মার্কামও। এই দুজনের ২১ বলে ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভাঙেন গ্লোভার। 

১৯ বলে ২৫ করে বিদায় নেন রুশো। প্রোটিয়াদের চিন্তা ছিল না মার্কাম আর মিলার থাকায়। মার্কার সেই ভরসা দিয়ে ব্যাটও করছিলেন। কিন্তু ভুল সময়ে বিদায় তারও। ১৩ বলে ১৭ করা ডানহাতিকে শিকার ধরেন ক্লাসেন। ওভারপ্রতি ১০ রানের বেশি প্রয়োজন দাঁড়াতেই অস্থিরতা তৈরি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। আতঙ্ক গ্রাস করে ফেলে তাদের। শেষ ৫ ওভারের সহজ সমীকরণে ডাচ বোলারদের থেকে আতঙ্কই দেখা দেয় বড় হয়ে। 

১৫৯ রান তাড়ায় গিয়ে দুই ওপেনার কুইন্টেন ডি ও টেম্বা বাভুমা আনেন জুতসই শুরু। কিন্তু সেটাকে বড় করতে পারেননি তারা। চার-ছক্কায় শুরু করা ডি কক ফ্রেড ক্লাসেনের বলে ধরা দেন উইকেটের পেছনে। থিতু হয়ে বিদায় নেন বাভুমা। প্রোটিয়া অধিনায়ক বোল্ড হন ভ্যান মিক্রিনের বলে। 

পাওয়ার প্লের মধ্যে দুই উইকেট হারালেও রাইলি রুশোর অনায়াসে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। এই ম্যাচ নিয়ে খুব একটা সংশয়ের জায়গা ছিল না। ছন্দে খেলছেন এইডেন মার্কামও। এই দুজনের ২১ বলে ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভাঙেন গ্লোভার। 

১৯ বলে ২৫ করে বিদায় নেন রুশো। প্রোটিয়াদের চিন্তা ছিল না মার্কাম আর মিলার থাকায়। মার্কার সেই ভরসা দিয়ে ব্যাটও করছিলেন। কিন্তু ভুল সময়ে বিদায় তারও। ১৩ বলে ১৭ করা ডানহাতিকে শিকার ধরেন ক্লাসেন। ওভারপ্রতি ১০ রানের বেশি প্রয়োজন দাঁড়াতেই অস্থিরতা তৈরি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। আতঙ্ক গ্রাস করে ফেলে তাদের। শেষ ৫ ওভারের সহজ সমীকরণে ডাচ বোলারদের থেকে আতঙ্কই দেখা দেয় বড় হয়ে। 

বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচ টসেই হয়ত বিপদ ডেকে আনে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো পরিস্থিতিতে উড়ন্ত শুরু আনে ডাচরা। স্টিফেন মাইবার্গ ও ম্যাক্স ও'ডাউড পাওয়ার প্লেতে প্রায় ১০ করে রান আনতে থাকেন। 

পাওয়ার প্লের পর গতি কিছুটা কমলেও ভিত দাঁড়িয়ে যায়। নবম ওভারে ৩০ বলে ৩৭ করে মার্কামের শিকার হন মাইবার্গ। টম কুপার নেমেই তুলেন ঝড়। মাঝের ওভারে আনতে থাকেন গুরুত্বপূর্ণ রান। ও'ডাউডের সঙ্গে আসে ৩৯ রানের জুটি। পাওয়ার প্লের পর মন্থর হয়ে পড়া ও'ডাউড ফেরেন ৩১ বলে ২৯ করে। 

১৫তম ওভারে ১৯ বলে ৩৫ করে মহারাজের শিকার হন কুপার। শেষ ৫ ওভারে আরও ৪৬ রান যোগ করে তারা। বিশেষ করে শেষ দুই ওভারে আসে ৩২ রান। যার বড় কৃতিত্ব কলিন অ্যাকারমানের। মাত্র ২৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে ফেলেন তিনি। কাগিসো রাবাদা ও পারলেন চরম হতাশ করেন আফ্রিকানদের। শেষ দুই ওভারের এই রানই পরের দিকে হয়েছে বড়। 

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

‘Seize the moment to anchor democracy’

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

7h ago