‘আমরা নিশ্চিত ছিলাম আউটটা হয়নি’

nazmul hossain shanto

প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৭০,  পরের ১০ ওভারে ৭ উইকেটে ৫৭! বাংলাদেশের ইনিংসকে ভাগ করা যায় দুই ভাগে। যাতে মাঝে রাখা যায় সাকিব আল হাসানের ভুল সিদ্ধান্তের আউট। সাকিবের আউটের পর শরীরী ভাষাতেও আসে বদল। ম্যাচ শেষে ফিফটি করা নাজমুল হোসেন শান্ত জানালেন, তারা নিশ্চিত ছিলেন যে আউটটা হয়নি, কিন্তু এতে করে দমে গিয়ে মনোযোগ নড়ে যায়নি তাদের।

রোববার কোয়ার্টার ফাইনালে পরিণত হওয়া ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। মাত্র ১২৭ রানের পুঁজি নিয়ে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলা নিয়ে যাওয়া হয়নি সাকিবদের।

টস জিতে এদিন ব্যাট করতে নেমে আসে জুতসই শুরু। লিটন এক ছক্কা মেরে থেমে গেলেও পাওয়ার প্লেতে ৪০ রান আসে। সৌম্য সরকার-শান্তর হাল ধরায় ১০ ওভার শেষে ছিল ৭০ রান। এই পর্যায় থেকে যেকোনো দলেরই দেড়শো ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা অনায়াসে। কিন্তু  পরের ৬০ বলে আর কেবল ৫৭ রান যোগ করতে বাংলাদেশ হারায় ৭ উইকেট।

একাদশ ওভারে সৌম্য রিভার্স সুইপে ক্যাচ দেওয়ার পরের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন সাকিব। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আলট্রা এজ প্রযুক্তিতে দেখা যায় বল সাকিবের পায়ে লাগার আগে লেগেছিল ব্যাটে। কিন্তু আম্পায়ার ব্যাট মাটিতে লেগেছে মনে করায় সাকিবকে দেন আউট। এরপরই তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ার শুরু। ৪৮ বলে ৫৪ করে থামেন শান্তও। দেখে মনে হয়েছে হুট করেই দিকহারা বাংলাদেশ।  তবে সাকিবের আউটের পর মনোযোগ নড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন না শান্ত,  'মনোযোগ নড়ে নাই। আমাদের সবার মনে হয়েছিল যে আউটটা হয়নি। আমরা নিশ্চিত ছিলাম আউটটা হয়নি। আসলে সিদ্ধান্ত আম্পায়ারের। কিছু বলার নাই। মনে হয় না মনোযোগ নড়ে গেছে, তারপরও আমরা ভাল খেলি নাই।'

টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় ফিফটি করলেও খুব একটা ঝড় আসেনি শান্তর ব্যাটেও। এই বাঁহাতি ব্যাটার অবশ্য মনে করেন উইকেটের আচরণ হিসেব করেই খেলেছেন তিনি, 'আজ উইকেট যেমন ডিমান্ড করছিল, ওই অনুযায়ী ব্যাট করছিলাম। আমার মনে হয় উইকেট কোন ব্যাটারের জন্যই খুব একটা সহজ ছিল না। বিশেষ করে নতুন ব্যাটারের জন্য। যদি বড় করতে পারতাম দলের জন্য  ভাল হত।'

'১৪০, ১৫০ এরকম রানেরই উইকেট ছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম যে আমার শেষ করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যেটা আমি করতে পারিনি। এজন্য একটু আফসোস লেগেছে। শেষের কয়েকজন যদি আরেকটু ভাল করতে পারতাম তাহলে হয়ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হতো।'

Comments

The Daily Star  | English

4.8 lakh narcotics cases pending despite deadline

Judge shortage, lack of witnesses, inadequate court infrastructure blamed for delays

6h ago