নাওয়াজকে বোলিংয়ে না আনায় বাবরের সমালোচনায় মিসবাহ, ওয়াকাররা
ব্যাট হাতে মাঝে মাঝে আগ্রাসী ইনিংসে ঝলক দেখালেও মোহাম্মদ নাওয়াজের মূল কাজ আসলে বাঁহাতি স্পিন। কিন্তু একাদশে থাকলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে তাকে বোলিংয়ে আনেননি বাবর আজম। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মিসবাহ উল হক, ওয়াকার ইউনুস ও শোয়েব মালিক।
রোববার মেলবোর্নে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের ১৩৭ রান ১ ওভার আগেই পেরিয়ে যায় জস বাটলারের দল।
অল্প পূঁজি নিয়ে পাকিস্তানি বোলাররা শুরুতে মার খেলেও মাঝের ওভারে দারুণ বল করে লড়াই জমানোর চেষ্টা করেন। বেন স্টোকসের ঝলকে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেননি তারা। বল করতে গিয়ে শাহিন আফ্রিদি চোটে পড়ে কোটা শেষ করতে না পারায় ভুগায় তাদের।
পায়ের টানে ২.১ ওভার বল করে বেরিয়ে যান শাহিন। তার অসমাপ্ত ওভার করতেও ডাক পড়েনি নাওয়াজের। আনা হয় অনিয়মিত বোলার ইফতেখার আহমেদকে। ৫ বল করে তিনি দেন ১৩ রান। ওই সময় ক্রিজে ছিলেন দুই বাঁহাতি স্টোকস ও মঈন আলি। ম্যাচআপের চিন্তাতেই হয়ত তখন বাঁহাতি স্পিন আনতে চাননি বাবর।
পাকিস্তানের 'এ' স্পোর্টসের টক শোতে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন পাকিস্তানি সাবেকরা। এক দর্শকদের প্রশ্ন ছিল, 'নাওয়াজের ভূমিকা কি বোলিং না ব্যাটিং?'
উত্তরে সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ বলেন নিয়মিত বোলাররা নাওয়াজকে বল করতে না দেওয়ার ভুল ধরেন, 'তার ভূমিকা তো পরিষ্কার। তার মূল কাজ বোলিংই। কিন্তু যখন আমরা চার-পাঁচ পেসার খেলানো শুরু করেছি তার বোলিংটা আড়ালে পড়ে গেছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সে বল করেছিল, এবং ওদের মূল ব্যাটার গ্লেন ফিলিপসের উইকেট এনে দিয়েছিল। আজকে যেভাবে টার্ন হচ্ছিল তাকে আক্রমণে নিয়ে না আসা…(অবাক)। আমার মনে হয়েছে শাদাবের সঙ্গে অন্তত এক ওভার তাকে দিয়ে করানো উচিত ছিল। করালে বুঝতেন সে উইকেটে কি করতে পারত। আপনার রিসোর্সকে ব্যবহার করতে হবে তো।'
পাশে থেকেই ওয়াকার যোগ করেন বল করতে আসলে হয়ত ডট বলের চাপ দিতে পারতেন নাওয়াজ, 'সে কিন্তু অনিয়মিত বোলার না, সে নিয়মিত বোলার। ইফতেখার যেমন নিয়মিত না, মাঝে মাঝে ঠেকার কাজ করে দেয়। নাওয়াজ তো বোলিংয়ের চাপ নিতে পারে। প্রতিপক্ষকে ডট বলের চাপ দিতে পারে।'
এখনো খেলা না ছাড়লেও দল থেকে দূরে থাকা শোয়েব মালিক জানান ভারতের বিপক্ষে ব্যর্থতার পরই হয়ত নাওয়াজের বোলিং আস্থা হারিয়েছে, 'আমার মনে হয় ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর তারা ভিন্নভাবে ভাবছে। কিন্তু সেই ম্যাচের পর তো নতুন ম্যাচ হচ্ছে। নাওয়াজ আপনাকে অনেক খেলা জিতিয়েছে। কাল যা হয়েছে সেটা আজও হবে এমন ভাবার কারণ নেই।'
চার পেসারের মাঝে লেগ স্পিনে কোটা পূরণ করেন শাদাব খান। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তিনি। মিসবাহর মতে কে জানে বোলিং পেলে নাওয়াজও এমন কিছু করে দেখাতে পারতেন, 'চার ওভারে ২০ রান দিয়েছে শাদাব। নাওয়াজকে এক ওভার করানোর পর হয়ত পরে সে মূল বোলারই হয়ে যেতে পারত।'
Comments