মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
রুনা নাসরিন জানান, ফেনীসহ কয়েকটি অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১০ জুলাইয়ের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এই স্থগিত পরীক্ষা আগামী ১২ আগস্ট নেওয়া হবে।
ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ‘মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে জুলাই মাসে এমনিতেই বৃষ্টি হয়। আজও হচ্ছে এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ আজ বুধবার দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।
৫, ৬ ও ৭ জুন বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকলেও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।
আগামী পরশু থেকেই বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসবে এবং তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।
আজ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতা ভারতে আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি ঘটার মূল কারণ। যার ফলে বেড়েছে দুর্যোগের সংখ্যাও।
‘২৪ তারিখ থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে। এরপর ধীরে ধীরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমলেও উত্তরাঞ্চলে কিছুটা বাড়তে পারে।’
দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হওয়া ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত আগামী ৯ আগস্ট থেকে কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
রাজশাহী, দিনাজপুর, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদ্যু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি আগামী ৪-৫ দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।