ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টারা আশা করছেন নিজেদের কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসবে তেহরান। যুক্তরাষ্ট্রের বেধে দেওয়া শর্ত মেনে পরমাণু চুক্তিতে সই করতে রাজি হবে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।
তবে সত্যি যদি ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে শাসন করে আসা এই নেতার পতন হয়। তাহলে ইরানে কী হবে তা এখনো অনিশ্চিত।
এক কর্মকর্তা বলেন, এই অভিযান ইরানি শাসনের শক্তি ও অভ্যন্তরীণ সংহতির সক্ষমতাকে ধ্বংস করার জন্য।
ইসরায়েল কাৎজ বলেন, ‘খামেনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন, তিনি ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে চান।’
ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের ওই হামলার লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলি সামরিক ও গোয়েন্দা বাহিনীর ঘাঁটি, হাসপাতাল নয়।
খামেনি বলেছেন, 'যারা ইরান, এর জনগণ ও ইতিহাস সম্পর্কে জানেন তারা এমন ভাষায় হুমকি দেন না। কারণ, ইরানিরা আত্মসমর্পণ করার জাতি নয়।'
খামেনি দাবি করেন, আজকে থেকেই প্রকৃত অর্থে যুদ্ধ শুরু করেছে তার দেশ।
নিহত কমান্ডার আলি শাদমানি ছিলেন আইআরজিসির প্রকৌশল ও নির্মাণ সংস্থা খাতাম আল-আনবিয়া’র কেন্দ্রীয় সদরদপ্তরের প্রধান।
ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আজ সকালে তেল আবিবের বাসিন্দারা ছিলেন উদ্বেগ-আতঙ্কে। সর্বত্র বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি লক্ষ্য করেন সিএনএনের জেরুজালেম সংবাদদাতা জেরেমি ডায়মন্ড।
তেহরানে এক সমাবেশে আয়াতুল্লাহ খামেনি দেশবাসীকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার জাতিসংঘে ইরানের মিশন দাবি করেছে, হামাসের হামলার সঙ্গে তেহরানের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
‘আমেরিকা ইরাকের বন্ধু নয়। আমেরিকানরা কারো বন্ধু নয়। এমনকি তারা তাদের ইউরোপীয় বন্ধুদের প্রতিও বিশ্বস্ত নয়।’