ক্রেমলিনে আয়োজিত এই বৈঠকে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ইসরায়েল নিরন্তর মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভাজনের বীজ বপন করে চলেছে। মুসলিম দেশগুলোর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কে ফাটল ধরাতে চায় ইসরায়েলি শাসক।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ওয়াশিংটন ও তেহরান বেশ কয়েক দফা আলোচনা ও দরকষাকষিতে অংশ নেয়। কিন্তু এই উদ্যোগে বাদ সাধে ইসরায়েল।
ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে প্রায় দুই সপ্তাহের যুদ্ধে দেশটির অন্তত ৯৩৫ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, বেশ কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এগুলো এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এবং প্রায় সার্বক্ষণিকভাবে এগুলোতে পরিবর্তন আসছে।
ইরান এখনো দাঁড়িয়ে আছে, ভবিষ্যতেও সবলে দাঁড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে সিএনএন জানায়, ইসরায়েল ও ইরান শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
রাশিয়া কীভাবে ইরানের পাশে দাঁড়াতে পারে, সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
বেসামরিক ব্যক্তিদের চরম দুর্দশার মাঝে যেসব পশ্চিমা রাজনীতিবিদ নিস্পৃহ থাকছেন, তাদের প্রতি চরম নিন্দা জ্ঞাপন করেন খামেনি
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে খামেনি বলেন, ‘আমাদের শত্রু বিভাজন ও রাষ্ট্রদ্রোহের বীজ বপন করার কৌশল হাতে নিয়েছে। তারা চায় মুসলমানরা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ুক। কিন্তু তারা ফিলিস্তিনি, লেবানিজ, মিসরীয় ও ইরাকি...
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট (বাইডেন) ইসরায়েলকে ইরান, সহযোগী জঙ্গি সংগঠন হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুতিদের কাছ থেকে আসা সব ধরনের হুমকি থেকে রক্ষা দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান যোগ দিতে তেহরানে অবস্থান করছিলেন হানিয়া।
খামেনি বলেন, ‘(হানিয়াকে হত্যার) এই পদক্ষেপের মাধ্যমে (ইসরায়েলের) অপরাধী, জঙ্গি ও জাওনবাদী শাসকরা কঠিন শাস্তি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।'
৫ জুলাইর ভোটে এক কোটি ৬০ লাখেরও বেশি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন পেজেশকিয়ান (৬৯)। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কট্টর রক্ষণশীল প্রার্থী সাঈদ জলিলি।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই সংবাদটি প্রথম প্রকাশ করে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম রিয়া।
ইরানের শীর্ষ নেতার কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে আলি খামেনি হামাসপ্রধানকে বলেন, ‘জাওনিস্টদের ধ্বংস করার বেহেশতি অঙ্গীকার একদিন পূরণ হবে এবং আমরা সেই দিনটি দেখব, যেদিন নদী থেকে সমুদ্র পর্যন্ত জেগে উঠবে...
বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান শাসকদের কাছে শৃঙ্খলা ও স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখাই প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব পাবে।
মোখবার দেশের নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন।