ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর: দাবি ট্রাম্পের

কাতারে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি: এএফপি (১৫ মে, ২০২৫)
কাতারে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি: এএফপি (১৫ মে, ২০২৫)

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর রয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা বেজে ৮ মিনিটে নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশালে পোস্ট করে এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এএফপির প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমের পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, 'যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর রয়েছে। অনুগ্রহ করে এর লঙ্ঘন করবেন না!'

পোস্টের শেষে নির্বাহী আদেশে সই দেওয়ার মতো করে লিখেছেন 'ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প, প্রেসিডেন্ট অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস'।

এএফপি জানিয়েছে, মঙ্গলবার গ্রিনিচ সময় ভোর ৪ টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা) থেকে ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি চালুর প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইরান একপাক্ষিকভাবে হামলা বন্ধ করলেই এটি কার্যকর হবে। এরপর ১২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলকেও সব ধরনের হামলা বন্ধ করতে হবে।  

তবে এখনো ইরান বা ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

এর আগে সিএনএন জানায়, ইসরায়েল ও ইরান শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

সোমবার রাতে ট্রাম্প এমন দাবি করেন।

ট্রাম্প ট্রুথ সোশালের অপর এক পোস্টে বলেন, 'ইসরায়েল ও ইরান প্রায় একইসঙ্গে আমার কাছে এসেছিল এবং বলেছে, "শান্তি!" আমি জানতাম এখনই সময়। বিশ্ব ও মধ্যপ্রাচ্যই আসল বিজয়ী! উভয় জাতিই তাদের ভবিষ্যতে অসাধারণ ভালোবাসা, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেখতে পাবে।'

তিনি লিখেছেন, 'ইসরায়েল ও ইরানের ভবিষ্যৎ অসীম ও মহান প্রতিশ্রুতিতে পরিপূর্ণ। ঈশ্বর উভয়ের মঙ্গল করুন!'

কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে শান্তি চুক্তি করার জন্য তোড়জোড় শুরু করেন ট্রাম্প এবং তার শীর্ষ কূটনৈতিকরা।

সোমবার ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন ট্রাম্প। কিন্তু, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সেটা নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স। অপরদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইসরায়েল হামলা বন্ধ না করলে তারাও করবে না।

এরইমধ্যে আজ সকাল থেকেই ইসরায়েল ও ইরান পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ইসরায়েলে তিনজন এবং ইরানে এক পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

5h ago