জামায়াত আমির আজ মার্কিন কূটনীতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন, আমলাতন্ত্র, পুলিশ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব, জাতির সামনে পুরো প্রক্রিয়াটা স্বচ্ছভাবে তুলে ধরা এবং প্রক্রিয়া শেষে নির্বাচনের আয়োজন করা।
তিনি বলেছেন, নির্বাচন শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, বরং রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারের চুক্তি নবায়ন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর জনপ্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে।
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, এসব কথাবার্তা বলে নির্বাচনকে পিছিয়ে নেওয়ার কোনো সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘এমপি না হই, দেখা হবে আপনার সাথে, ঠিক আছে। আপনি কত বড় কী, আমি দেখে নেবো।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র। তিনি নৌকা প্রতীকে মেয়র নির্বাচন করেছিলেন।
‘গতকালের সব নাটক শেষ করে দেখা গেছে, অন্য সব দল সরকারের অনুকম্পা নিয়ে নির্বাচন করছে। সুতরাং একমাত্র বিরোধী দল তৃণমূল বিএনপি, যে দল বাংলাদেশে ১৪২ জন প্রার্থী নিয়ে বিভিন্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।’
জাতীয় পার্টি ২৮৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কিন্তু যে ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগ ছাড় দিয়েছেন, তার বাইরে আর একটি আসনেও কি তাদের প্রার্থীরা জিতবেন?
শরিক ও জাতীয় পার্টির জন্য ছেড়ে দেওয়া এই ৩২টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদে।
‘বিএনপির ৮৫ শতাংশ লোক আমার সঙ্গে আছে। তারা নিরবে আমার নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
বর্তমান সংসদে জাতীয় পার্টির ২৭ জন সদস্য রয়েছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, এই তিনজনই শক্তিশালী প্রার্থী। তারা প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় এসব আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সহজে জয় পাওয়া কঠিন হবে।
এসব প্রার্থীদের মধ্যে কেউ দলীয় বিভক্তি নিয়ে উৎকন্ঠিত, কেউ আশা করছেন শেষ মুহূর্তে হয়তো পাল্টে যেতে পারে দলীয় অবস্থান।
তাদেরকে প্রত্যাহার করে সেখানে অভিজ্ঞ ও যোগ্য কর্মকর্তাদের পদায়নের প্রস্তাবও করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে।