ট্রাম্প উল্লেখ করেন, ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রস্তুত।
ইরানের সরকারি টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও শহরের পূর্বাঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এসব জায়গায় আগুন ও ধোঁয়া দেখা গেছে এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
টিভিতে প্রচারিত সংবাদে বলা হয়, ‘সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাঘেরি নিহত হয়েছেন।’
নেতানিয়াহু হুশিয়ারি দেন, ইরানের বিরুদ্ধে বড় আকারের সামরিক অভিযানের শুরুতে এটা ছিল প্রথম পর্যায়ের হামলা।
তেহরান ও অন্যান্য শহরে ইসরায়েলি হামলার কয়েক ঘণ্টা পর খামেনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘জায়নবাদি শাসকদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে।‘
শুক্রবার সকালে তাসনিম সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় টিভিতে আইআরজিসি প্রধানের মৃত্যুসংবাদ প্রচার করা হয়। সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘রাতভর ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন সালামি।’
ইরানের গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বেশ কয়েকটি অবস্থানে বিস্ফোরণের তথ্য দিয়েছেন, যার মধ্যে তেহরানের মূল ইউরেনিয়াম পরিশোধনকেন্দ্রও অন্তর্ভুক্ত।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ সদস্য রাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটির স্থায়ী সদস্য হওয়াতে তাদের একটি বিপক্ষ ভোটেই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ত্রাণকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য যেসব রাস্তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে সেগুলোকে এখন ‘যুদ্ধকবলিত এলাকা’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি জো বাইডেন হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে এটাই সম্ভবত ইসরায়েলের কাছে শেষ পরিকল্পিত অস্ত্র বিক্রি হতে পারে। এরপরই তার উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রহণ করবেন।
এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু চ্যানেল ১২ এর প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ ও ‘মিথ্যা প্রচারণা’ বলে অভিহিত করেন এবং দাবি করেন, তার স্ত্রী নির্দোষ।
সীমান্তে সিরিয়া অংশের ‘বাফার জোন’ দখলেরও ডাক দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু ১৮ নভেম্বর ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে দেওয়া এক বক্তৃতায় নেতানিয়াহু জানান, লেবাননে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হলেও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে অভিযান চালিয়ে যাবে ইসরায়েলি বাহিনী।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের পাশাপাশি ব্রিটেন, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও যোগ দেবেন। এই সম্মেলনে সভাপতির ভূমিকায় থাকবেন ইতালির আন্তোনিও তাজানি।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘কাগজে কী (প্রস্তাব) থাকবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। কাগজে (যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব) সই করা হলেও আমাদের (ইসরায়েল) উত্তরে আক্রমণ চালিয়ে যেতে হবে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও সেটা মানার...
হামলার সময় নেতানিয়াহু বা তার পরিবারের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। কোনো ক্ষয়ক্ষতির খরবও পাওয়া যায়নি।
ডাচ পুলিশের মুখপাত্র জানান, এ ঘটনার জেরে ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে হতাহতের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
গত সপ্তাহে সিজারিয়া এলাকায় নেতানিয়াহুর বাড়িতে ড্রোন হামলা হয়। ড্রোনটি লেবানন থেকে ধেয়ে এসেছিল। এতে কেউ হতাহত না হলেও ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ পায়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এই তথ্য উপস্থাপন করে মন্তব্য করেন, যুদ্ধের লক্ষ্য পূরণ হতে আর বেশি দেরি নেই।