আন্দোলনরত কর্মকর্তারা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ নেতৃত্বের পদত্যাগ দাবি করলেও বিএসইসির চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনার তাদের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তবে, যেসব কোম্পানি রপ্তানির পরিমাণ ও মূলধনের দিক দিয়ে তুলনামূলক বড়, তারা ভালো পারফরম্যান্স করলেও তবে ছোট কোম্পানিগুলোকে লড়াই অব্যাহত রাখতে হয়েছে।
মূলত উচ্চহারে সুদ, মূল্যস্ফীতি ও অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের মুনাফা কমেছে।
মূলত কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে অবকাঠামো প্রকল্পগুলোয় সরকারি খরচ কমে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে।
এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে বিএসইসি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিটি করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এর আগে, আজ রোববার সকাল ১০টায় নির্ধারিত সময়ে লেনদেন শুরু করতে পারেনি ডিএসই।
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিদায়ী বছর তেমন কোনো লাভের মুখ দেখাতে পারেনি। দেশের শেয়ারবাজারের প্রধান সূচকগুলো ছিল নিম্নমুখী। প্রতিদিনের লেনদেনেও তেমন কোনো প্রবৃদ্ধি ছিল না। লাভ করার মতো কোনো...
লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৯টির, কমেছে ১৫৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৭টির শেয়ার দর।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএফআইইউর নির্দেশনা অনুযায়ী এসব হিসাব জব্দের নির্দেশও দিয়েছে।
শেয়ার কারসাজি করা ব্যক্তিরা ছাড়া সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার থেকে হতাশা ছাড়া আর কিছুই পাননি। বিদেশি বিনিয়োগকারীসহ অনেকে পুঁজিবাজার ছেড়ে চলে গেছেন।
খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১১ ও ২০১২ সালে জোর করে শেয়ার বিক্রি বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ফলে শেষ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
দুঃখজনক বিষয় হলো—ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কারসাজিতে জড়িয়ে পড়ে।
এর আগে ২০০৮ সালে শেয়ারের দাম কারসাজির দায়ে এবি ব্যাংকের মার্চেন্ট ব্যাংকিং উইংকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এভাবে মধ্যস্থতাকারী অনুমোদন দেওয়ায় বাজারে ভালো কোনো ফল বয়ে আনেনি। বরং শেয়ারবাজারে সেবার মানের পতন হয়েছে, এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমেছে।
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, গত ১৪ বছরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত অনেক প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কাজ করছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ সরকার পতনের পর পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছিল, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ও শেয়ারবাজার চাঙা করতে এই আয়োজন। যদিও এভাবে রোড শো করে বিদেশি বিনিয়োগ টানা বিএসইসির দায়িত্ব নয়, তাছাড়া তালিকাভূক্ত কোম্পানির টাকায়...
নতুন অর্থবছরের প্রথম দিনে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়েছে ৫ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে। গত অর্থবছরে শুরু হয়েছিল ৬ হাজার ৩৪৩ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৪০১টি শেয়ারের মধ্যে ২৪৬টির দাম বেড়েছে, ৯৯টির কমেছে এবং ৫৬টির অপরিবর্তিত আছে।