‘ঋণখেলাপিদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। অন্যথায় অন্যরাও ঋণ খেলাপি হতে উৎসাহিত হবেন।’
আজ সকালে মতিঝিল ও পল্টনে ব্যাংকের শাখাগুলোর ক্যাশ কাউন্টারে লম্বা লাইন দেখা গেছে।
কিছু ব্যাংক এখনো তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী মূলধন ধরে রাখতে পারলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী এই খাতে রয়েছে বড় ফারাক।
শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো নিয়ে বিতর্ক ও আর্থিক কেলেঙ্কারির কারণে সেসব ব্যাংকের ওপর গ্রাহকদের আস্থা কমেছে। এসব ইসলামী ব্যাংকের অনেকগুলোই বিগত সরকারের আমলে বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের...
এক ডজনেরও বেশি ব্যাংকে মন্দ ঋণের পরিমাণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এ বিষয়ে জানতে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোখলেসুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল দ্য ডেইলি স্টার। তবে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এতে সরকারি এই সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্প বিলম্বিত হচ্ছে এবং নিয়মিত কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও ত্রুটিপূর্ণ নীতির কারণে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রকৃত অবস্থা অস্পষ্ট ছিল। গত ৫ আগস্ট তার পতনের পর ব্যাংক খাতের আসল চিত্র বের হতে শুরু করে।
অন্তর্বর্তী সরকারের জারি করা এক অধ্যাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে ১৬৯টি কোম্পানির জন্য ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়েছিল। তবে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা আরও বাড়লে চলতি বছরের মার্চে আবারও সেটা চালু করা হয়।
ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) লাইসেন্স ফেরত দিয়ে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে চায়।
এখন থেকে ঋণের দলিলে জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে যাচাই করে স্বাক্ষরের পাশাপাশি অবশ্যই বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) সিস্টেমে কারিগরি ত্রুটির কারণে আন্তব্যাংক লেনদেন নিষ্পত্তিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ১ মাস আগেও আমানতের গড় সুদের হার ছিল ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
নতুন নোট প্রতিস্থাপনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচ্ছন্ন নোট নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি বছরের জুনে বার্ষিক স্টাবিলিটি প্রকাশ করে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আগামীতে এই রিপোর্টে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের তথ্য দিতে হবে।
বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদদের সমালোচনা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক আপত্তি সত্ত্বেও সরকার ২০১৩ সালে নতুন ৯ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার লাইসেন্স দেয়।
এর আগে ঈদের ছুটি একদিন বাড়িয়ে ৪ দিন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে ঈদ উপলক্ষে ২৭ থেকে ৩০ জুন ছুটি ছিল। পরের দিন ১ জুলাই শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে বড় বড় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালকরা। তাদের স্বেচ্ছাচারিতা, পরিবারতন্ত্রের চর্চা এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপই মূলত এই দুর্নীতি বা অনিয়মগুলো...