২০২৩ সালে দাপট দেখাবে যে ৫ প্রযুক্তি

সময়ের আবর্তনে চলে গেছে আরও একটি বছর। নতুন বছরে পা দিয়েছে পৃথিবী। প্রযুক্তির যুগে মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে প্রতি বছরই বাজারে আসে নতুন নতুন প্রযুক্তি। নতুন বছরও এর ব্যতিক্রম নয়।
২০২৩ সালের প্রযুক্তি

সময়ের আবর্তনে চলে গেছে আরও একটি বছর। নতুন বছরে পা দিয়েছে পৃথিবী। প্রযুক্তির যুগে মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে প্রতি বছরই বাজারে আসে নতুন নতুন প্রযুক্তি। নতুন বছরও এর ব্যতিক্রম নয়।

সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন ২০২৩ সালে যে ৫ প্রযুক্তি দাপট দেখাবে, তার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাহলে বছরের প্রথম দিনেই তা জেনে নেওয়া যাক।

সহকর্মী হিসেবে এআই

নামি-দামি প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যেই এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়িয়েছে। ২০২৩ সালে এর ব্যবহার আরও বাড়বে। ফোর্বস জানিয়েছে—সব শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেই এআইয়ের ব্যবহার দেখা যাবে। ফলে বাড়বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজের পরিধি।

এআই-ভিত্তিক অ্যালগারিদম মানুষের চাহিদা মোতাবেক পণ্য সরবাহ করতে সহায়তা করবে।

২০২৩ সালে অনলাইনে কেনাকাটা ও পণ্য সরবরাহের পরিমাণ ব্যাপক হারে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ কাজকে সহজ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—তা পণ্যের মূল্য পরিশোধ থেকে শুরু করে ঘরে পণ্য পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই।

নতুন বছরে অনেক শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে দেখা যাবে মানুষের সহকর্মী হিসেবে কাজ করছে এআই।

মেটাভার্সের বাস্তবতা

মেটাভার্স এমন এক ভার্চুয়াল জগৎ যা মেশিনের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়িয়ে দেবে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নিয়ে আলোচনা দীর্ঘদিনের। এ বছর এই জগতের অনেক কিছুই বাস্তবতার রূপ নিবে।

বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশা, আগামী ২০৩০ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে মেটাভার্স। ২০২৩ সাল মেটাভার্সের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে করবে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট ও গেমিং জায়েন্ট এনভিডিয়া তাদের ডিজিটাল পণ্য নিয়ে কাজের জন্য মেটাভার্সের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে।

সেই সূত্র ধরে চলতি বছর বিশ্ববাসী অগমেনটেড রিয়েলিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) প্রযুক্তি আরও বহু দূর এগিয়ে যাবে। এমনকি ২০২৩ সালেই মেটাভার্সে কাজের পরিবেশ দেখা যেতে পারে।

এই ভার্চুয়াল জগতে এমন কিছু ফিচার থাকবে যার মাধ্যমে অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এইচআর সংক্রান্ত কাজগুলো অফিসে না গিয়েই সেরে নিতে পারবেন।

আরও বেশি 'মানবিক' হবে রোবট

২০২৩ সালে রোবট আরও বেশি 'মানবিক' হয়ে উঠবে। রোবটের দক্ষতা ও চেহারায় পরিবর্তন আসবে। প্রবীণদের সঙ্গ দেওয়ার পাশাপাশি রোবটগুলো কাজ করবে দোকান-রেস্তোরাঁ ও প্রতিষ্ঠানের অভ্যর্থনা কক্ষে।

এ ছাড়াও ওয়্যারহাউস ও কারখানায় ভারি কাজে মানুষকে সহায়তা করবে রোবট। পণ্য উৎপাদন ও লজিস্টিকসেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

পরিবেশবন্ধব প্রযুক্তি

জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি বা গ্রিন টেকনোলজির গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাওয়ায় এ খাতে প্রভূত উন্নয়ন আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কার্বন নিঃসরণ কমাতে ও বিদ্যমান কার্বন শুষে নিতে ইতোমধ্যে বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরা নানান উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন।

২০২৩ সালে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি দাপট দেখাতে পারে। বিশেষ করে জ্বালানি পণ্য হিসেবে গ্রিন হাইড্রোজেনকে ঘিরে এ বছর সুখবর পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

ইউরোপের শীর্ষ জ্বালানি প্রতিষ্ঠান শেল ও আরডব্লিউই উত্তর সাগরের উইন্ডমিলগুলো থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরবরাহের জন্য প্রথমবারের মতো 'গ্রিন পাইপলাইন' তৈরি করছে।

ডিএনএ এডিটিং

কৃত্রিমভাবে এক পদার্থের সঙ্গে অন্য পদার্থ মিলিয়ে নানান বস্তুর উৎপাদন বিশ্ববাসী দেখেছি। উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর ক্ষেত্রেও ঘটেছে এমন ঘটনা। বিজ্ঞানীরা মানুষের ডিএনএ এডিটিং নিয়ে গবেষণায় অনেক দূর এগিয়েছেন।

ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ডিএনএ পরিবর্তন করার সক্ষমতা অনেক বাড়বে। এ বছরেই জিন এডিটিং প্রযুক্তি বহু দূর এগিয়ে যাবে, যা সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।

Comments