সৌদি আরবের প্রথম নারী নভোচারী: কে এই রায়ানাহ বার্নাবি

৩৩ বছর বয়সী সৌদি নাগরিক বার্নাবি বায়োমেডিকেল সায়েন্সে দুটি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বিষয়ে স্নাতক এবং আলফাইসাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। 
সৌদি আরবের প্রথম নারী নভোচারী: কে এই রায়ানাহ বার্নাবি
রায়ানাহ বার্নাবি। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মহাকাশে যাচ্ছেন নারী নভোচারী রায়ানাহ বার্নাবি। সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ পূরণের জন্য এএক্স টু মহাকাশ মিশনে যোগ দেবে দেশটি।

সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) মিশনে সৌদি পুরুষ নভোচারী আলি আল-কারনির সঙ্গে যোগ দেবেন রায়ানাহ বার্নাবি।

৩৩ বছর বয়সী সৌদি নাগরিক বার্নাবি বায়োমেডিকেল সায়েন্সে দুটি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বিষয়ে স্নাতক এবং আলফাইসাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। 

এ ছাড়া গবেষণাগার বিশেষজ্ঞ হিসেবে বেশ খ্যাতি রয়েছে তার। ক্যান্সার স্টেম সেল গবেষণায় প্রায় এক দশকের মতো কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন রায়ানাহ।

সৌদি আরবের মহাকাশ অভিযানের এই ফ্লাইটটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে মহাকাশ স্টেশনে যাত্রা করবে। আল আরাবিয়ার তথ্য মোতাবেক, বেসামরিক বিমান চলাচলের জেনারেল অথরিটি, প্রতিরক্ষা ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রের যৌথ পরিচালনায় সৌদি স্পেস কমিশনের স্পেসফ্লাইট প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে বার্নাবি এবং আল-কারনি ছাড়াও নভোচারী মরিয়ম ফেরদৌস এবং আলি আল-গামদিও মিশনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন।

এর আগে, প্রথম আরব দেশ হিসেবে ২০১৯ সালে নিজেদের এক নাগরিককে মহাকাশে পাঠিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত।

সেসময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের নভোচারী হাজ্জা আল-মানসুরি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ৮ দিন অবস্থান করেছিলেন। চলতি মাসের শেষের দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আরেক নাগরিক সুলতান আল-নেয়াদি মহাকাশ যাত্রা করবেন।

সৌদি আরবের প্রথম নারী নভোচারী: কে এই রায়ানাহ বার্নাবি

'মহাকাশের সুলতান' হিসেবে পরিচিত ৪১ বছর বয়সী সুলতান আল-নেয়াদি প্রথম আরব নভোচারী, যিনি মহাকাশে ৬ মাস কাটাবেন। স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে চড়ে তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাবেন।

মহাকাশ অভিযান সংক্রান্ত এ ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের জ্বালানি-নির্ভর অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা করছে উপসাগরীয় রাজতন্ত্র শাসিত দেশগুলো।

সৌদি ডি ফ্যাক্টো নেতা ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানও সংস্কারের জন্য চাপ দিয়ে দেশের কঠোর রক্ষণশীল ভাবমূর্তি ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছেন।

 

তথ্যসূত্র: এএফপি, রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড 

গ্রন্থনা: আসরিফা সুলতানা রিয়া 

 

Comments