বসন্তকালে পুরুষের ত্বকের যত্ন
বসন্তকালে ধীরে ধীরে গরম ও আর্দ্রতা বাড়তে থাকে। আমাদের ত্বকও তৈলাক্ত হয়ে ওঠে। ত্বকের লোমকূপগুলোর মুখ আরও বড় হয়ে ওঠে।
তাই ত্বকের যত্নে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। বসন্তকালের রুটিন কেমন হতে পারে তা দেখা যাক।
সানস্ক্রিন
ত্বকের নিয়মিত পরিচর্যায় প্রথমত দরকার একটি ভালো সানস্ক্রিন। এটি সূর্যের আলোর ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। চামড়া কুঁচকে যাওয়া থেকে শুরু করে মুখে ডার্ক স্পট পড়া, এমনকি ত্বকের ক্যান্সারের সম্ভাবনাও থাকে এ রশ্মির ফলে।
তাই এরকম আবহাওয়ায় দরকার এসপিএফ ৩০ অথবা ৫০ এর মতো কড়া সানস্ক্রিন। তবে মনে রাখা জরুরি, সানস্ক্রিন যেন প্রয়োজনের বেশি সময় মুখে না থাকে। দীর্ঘক্ষণ থাকলে এটি ত্বকীয় গ্রন্থীগুলোর মুখ বন্ধ করে দেয়, যা ব্রণের জন্য দায়ী সিবাম উৎপাদন বাড়ায়। লোমকূপ বন্ধ হলে ত্বকে ব্ল্যাকহেডও বেড়ে যায়। এজন্য বাসায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ তেল বা বাম দিয়ে সানস্ক্রিন তুলে ফেলতে হবে।
ত্বক পরিচর্যায় গুরুত্বপূর্ণ ৩ উপাদান
ফেসওয়াশ, টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার—যে তিনটি জিনিস আপনার ত্বকের নিয়মিত যত্নে খুবই দরকারী। প্রথমে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। এতে মুখে জমতে থাকা অতিরিক্ত তেল দূর করে এবং ত্বককে আর্দ্রতা দেয়। ফেসওয়াশ ত্বকের গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করে এবং সিবামের বৃদ্ধিতে লাগাম টেনে ধরে। চেহারাও উজ্জ্বলতা আসে। তাই প্রতিদিন ফেসওয়াশ ব্যবহার জরুরি।
মুখ ধোয়ার পর টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ত্বকের প্রতিটি গ্রন্থির ভেতরে গিয়ে যাবতীয় ময়লা, ক্ষতিকর উপাদান বের করে দেয়। পাশাপাশি গ্রন্থিগুলোকে আরও দৃঢ় করে তোলে, চেহারায় মসৃণতা আনে।
শেষে আপনার দরকার হবে ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বককে আরও প্রাণবন্ত ও আর্দ্র করে তোলে। ফেসওয়াশ ও টোনার ত্বকে থাকা তেল দূর করে দেয়। ফলে ত্বকীয় গ্রন্থিগুলো আরও বেশি করে তেল উৎপাদন করা শুরু করে। এর নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সঠিক ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বককে ঝুঁকিমুক্ত করে, সজীব ও আর্দ্র রাখে।
সিরামের ব্যবহার
বেশিরভাগ পুরুষই সিরামের কথা জানেন না। কিন্তু এটি আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। সিরাম ত্বকে প্রচুর নিউট্রিয়েন্ট সরবরাহ করে, ত্বককে নরম করে। মুখের বলিরেখা দূর করে বয়সের ছাপ কমায়। ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য এটি খুবই কার্যকরী। সাধারণত সকালে আর রাতে এটি ব্যবহার করতে হয়। তবে মনে রাখা দরকার, ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পরপরই সিরাম ব্যবহার করতে হবে।
অনুবাদ: আসিফ করিম চৌধুরী
Comments