ঈদে প্রিয়জনকে দিতে পারেন যেসব উপহার

ছবি: সংগৃহীত

আসছে মুসলিমদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। বিশ্বজুড়ে উদযাপিত এই ত্যাগের উৎসব নিয়ে সবারই থাকে নানা পরিকল্পনা। প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে উপহার কেনার আমেজ তো সঙ্গে রয়েছেই।

অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারের ঈদের উপহারে ভিন্নতা আনতে তালিকায় দারুণ কিছু রাখা যেতেই পারে। 

গোরমেই বাস্কেট 

ঈদুল আজহার দিনে পশু কোরবানির সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরু হয় উদরপূর্তি ভোজনের পালা। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বৈচিত্র্যপূর্ণ খাওয়া-দাওয়ার রীতি রয়েছে। তবে হরেক রকমের খাবারের পসরায় মাংসের উপস্থিতি সব জায়গাতেই দেখা যায়। পাকিস্তানের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে মাংসের বিরিয়ানি, মাংস ভুনা; তুরস্কে কাবাব; মরক্কোতে ট্যাগিন থাকে ঈদুল আজহার প্রধান খাবার। উৎসবের দিনে পরিবারের সদস্য ও মেহমানদের সঙ্গে একত্রে খাওয়া-দাওয়ার মজাই আলাদা। কিন্তু অনেক আত্মীয়-পরিজন স্থানিক দূরত্বের কারণে এই মিলনমেলায় শামিল হতে পারেন না। তবে চাইলেই উপহারের ডালা সাজিয়ে তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে। যেখানে রাখা যেতে পারে নানা ধরনের একটি স্ন্যাকস, গোরমেই মিট এবং পনির থেকে শুরু করে ফলমূল এবং উচ্চমানের চা-কফি। 

সুইট বক্স

প্রিয়জন যদি হয় মিষ্টিপ্রিয়, তাহলে দেরি না করে পছন্দের মিষ্টান্নের পসরায় সাজাতে পারেন উপহারের ঝুড়ি। পরিচিত মিষ্টি এবং চকলেটের পাশাপাশি সেখানে যুক্ত করতে পারেন কিছুটা মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহ্যের ছোঁয়া। যার মধ্যে থাকতে পারে তুর্কি ডিলাইট, বাদামের বাকলাভা, হালুয়া, খেজুর, পেস্তা বা আখরোট মিশ্রিত শর্টব্রেড পেস্ট্রির মতো খাবার। সেই সঙ্গে আন্তরিকতা ফুটিয়ে তুলতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উৎসবমুখর থিমের উপহার মোড়ক।

হ্যান্ডমেড গিফট

ঈদ এলেই মনে পড়ে ছোটবেলায় বন্ধু, আত্মীয়, প্রিয়জনদের ঈদ কার্ডে শুভেচ্ছা বিনিময়ের স্মৃতিকথা। প্রিয়জনকে চাইলে এবারের ঈদে সেই হারিয়ে যাওয়া অনুভূতির স্পর্শ দেওয়া যেতে পারে। অন্যান্য উপহারের চেয়ে বরং চারু ও কারুশিল্পের আভিজাত্যই বেশি আবেগপ্রবণ করে তুলবে তাকে। বাজার থেকে টুকিটাকি জিনিসপত্র এনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে বানিয়ে ফেলতে পারেন ঈদ কার্ড, ট্রিট ব্যাগ, হ্যান্ডমেড বাক্সসহ নানা কিছু। আপনার সৃজনীশক্তি দিয়ে সুগন্ধি সাবান বা মোমবাতি বানিয়েও চমকে দিতে পারেন প্রিয় মানুষকে। 

হোম ডেকর 

নিজের ঘর প্রত্যেকের কাছে সবচেয়ে আরামের ও পছন্দের। সারাদিনের ক্লান্তির পর ব্যক্তিগত নীড়েই প্রশান্তি মেলে। তাই কেউ কেউ নিজের বাসায় আনন্দের খোরাক খুঁজে পায় গৃহসজ্জার বদৌলতে। ইদানীং বাজারের গৃহস্থালী জিনিসপত্রের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দেখা যায় গৃহসজ্জার নান্দনিক জিনিসপাতি। এবারের ঈদে আপনার প্রিয়জনকে বাড়তি খুশি দিতে উপহার দিতে পারেন আয়না, ফটো ফ্রেম, দেয়াল ঘড়ি, মোমবাতি হোল্ডার, বড় ফুলদানি, পেইন্টিংয়ের মতো নানা কিছু।

ইলেকট্রনিক গ্যাজেট 

অনেকে উপহার হিসেবে অন্যান্য জিনিসের চেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেলে বেশি উৎফুল্ল হয়। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনের তালিকায় বেশিরভাগ সময় থাকে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট। এ ধরনের উপহার দিতে গেলে অবশ্য প্রিয়জনের পছন্দ-অপছন্দ বিশেষ করে ব্র্যান্ডের বিষয়টি না জানলেই নয়। ঈদে ইলেকট্রনিক গ্যাজেটে অধিকাংশ ব্র্যান্ড ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়ের পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধা দেয়। তাই এ সুযোগে বাজেটের মধ্যে টিভি, ফ্রিজ ছাড়াও উচ্চমানের স্মার্টফোন, ইয়ারফোন, স্মার্টওয়াচ, ক্যামেরা, স্পিকার উপহার দেওয়া যায়। 

অ্যাক্সেসরিজ আইটেম 

অন্যান্য উৎসবের মতো ঈদুল আজহাতেও শপিংমল ঘুরে পছন্দের পোশাক, অলঙ্কার, জুতা কেনা হয়। তবে অনেকে আবার সীমিত সময় এবং কোরবানির বিশাল খরচ সামলে সকলের জন্য কেনাকাটা করে উঠতে পারেন না। কিন্তু তাই বলে কি প্রিয়জনকে খুশি করা হবে না? সাধ্যের মধ্যে অল্প বাজেটেই ছেলেদের জন্য আতর, বেল্ট, মানিব্যাগ, সানগ্লাস; মেয়েদের জন্য চুড়ি, অ্যান্টিক গয়না, হ্যান্ডব্যাগ, কসমেটিকস দিয়ে উপহার সাজানো যায়। 

ঈদ সালামি

ঈদের দিন নামাজ শেষে বাড়ি ফিরলে মেটাতে হয় পরিবারের ছোট থেকে বড় সব সদস্যের ঈদির আবদার। অনেকে শখের জিনিস কেনার বাজেটের জন্য উপহার হিসেবে নগদ অর্থ পেলে বেশি আনন্দিত হয়। আর এই আনন্দ বাড়িয়ে দেওয়া যায় মানি হোল্ডার কিংবা কাস্টমাইজড খামের মাধ্যমে। অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় নানা রকমের ঈদি বা সালামি হোল্ডার, খাম।

 

Comments

The Daily Star  | English
Asif Nazrul on Awami League’s political future

Filing of wholesale cases embarrassing for govt: Asif Nazrul

Law Adviser Asif Nazrul today said common people, particularly the political victims and rivals, are still filing wholesale cases against others since August 5, which is embarrassing for the current government

38m ago