শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ৯ দফা দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, দায়িত্ব অবহেলায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, ইন্টার্ন ডাক্তার কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চেষ্টা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটকের সামনের সড়কের ২ পাশে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্টার

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, দায়িত্ব অবহেলায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, ইন্টার্ন ডাক্তার কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চেষ্টা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটকের সামনের সড়কের ২ পাশে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার সকাল ১১টায় এই মানববন্ধন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা এবং সোয়া ১২টার দিকে তা শেষ হয়। মানববন্ধনের ফলে সড়কে যানচলাচল সীমিত করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।

সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার কুশপুত্তলিকা দাহ করছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্টার

পরে শিক্ষার্থীরা দুপুর ১টা ১০ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের পাশে বিক্ষোভ করেন এবং সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।

তাদের দাবীগুলো হলো—

১. রাবি শিক্ষার্থী শাহরিয়ারের মৃতদেহের পাশে অবস্থানকালে তার সহপাঠীদের ওপর নৃশংস হামলা হত্যাচেষ্টা এবং শিক্ষক লাঞ্ছনায় জড়িত ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় এবং আনসারদের দ্রুত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং তাদের প্রত্যেককেই তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে হবে।

২. রামেকের ডিরেক্টর শামীম ইয়াজদানীর অসংলগ্ন আচরণ ও প্রত্যক্ষ মদদে হামলার ঘটনাটি ঘটে। তার অপসারণ করতে হবে।

৩. রামেকের অব্যবস্থাপনা ও জরুরি মুহুর্তে ফর্মালিটিজের নামে সাধারণ মানুষের হয়রানি, চাঁদাবাজি এবং ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে যোগসাজশ বন্ধ করতে হবে।

৪. রামেকে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। ডাক্তারদের দোষ ওয়ার্ডবয়দের ওপর, ওয়ার্ডবয়দের দোষ ডাক্তারদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি আর চলবে না।

৫. সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। অসংলগ্ন কথাবার্তার জন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

৬. ইন্টার্ন ডাক্তারদের স্বেচ্ছাচারীতা, রোগী এবং রোগীর অভিভাবকদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, অভিযোগ জানাতে গেলে অভিবাবকদের ওপর অস্ত্রোপাচার সামগ্রী দিয়ে আক্রমণের বদোভ্যাস পরিহার করতে হবে। সর্বোপরি মানবিক ও আন্তরিক হতে হবে।

৭. জরুরি বিভাগে সিনিয়র ডাক্তারদের উপস্থিতিতে জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। দায়িত্ব চলাকালীন সময়ে নার্স বা ওয়ার্ডবয় দিয়ে প্রক্সি দেওয়া চলবে না।

৮. আইসিইউ ব্যবস্থা সহজ করতে হবে। ভিসি এবং প্রক্টরের সিগনেচারের নামে টালবাহানা করে যে কালক্ষেপণ করা হল তা দ্বিতীয় কারো সঙ্গে করা হবে না, এই নিশ্চয়তা দিতে হবে।

৯. অনতিবিলম্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির কাছে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে হবে। রামেকের ডাক্তার-নার্সরা মনগড়া, বানোয়াট, কাল্পনিক, অসত্য যে ঘটনা সাজিয়েছে তার চিত্র প্রকাশ করে সবাইকে প্রকৃত সত্য ঘটনা জানার সুযোগ করে দিতে হবে।

Comments