‘চিকা মারাকে’ কেন্দ্র করে চবি ছাত্রলীগের ২ উপগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৮

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে সংঘর্ষ শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) এবং বিজয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আজ শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, হলের দেয়ালে গ্রুপের দেয়াল লিখন (চিকা মারা) মুছে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত। প্রথমে ২ গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তা মারামারিতে রূপ নেয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ইতোমধ্যে পুলিশ পৌঁছেছে। ছবি: সংগৃহীত

ভিএক্স উপগ্রুপের সদস্যরা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী এবং বিজয়ের সদস্যরা হলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।

বিজয় গ্রুপের এফ রহমান হলের নেতা আল আমিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তারা বহিরাগতদের দিয়ে গুলি চালিয়েছে। এরপর মুখ ঢাকা অবস্থায় তারা হলে ঢুকে বিজয় গ্ৰুপের ছাত্রদের রুম ভাঙচুর করেছে। অনেকেই হলের রুমে আটকা পড়েছে। এখনো অনেকেই হলের বাইরে আছে।'

এদিকে ভিএক্স গ্রুপের নেতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল ভোরে বিজয়ের ছেলেরা আমাদের চিকা মুছে দেয়। ভিএক্স এর কর্মীরা তার প্রতিবাদ করলে সংঘর্ষ বাধে। এখন ভিএক্স এর ছেলেরা এফ.রহমান হলে অবস্থান করছে। আর বিজয়ের কর্মীরা হলের বাইরে আছে।'

এফ রহমান হলের গেটে পুলিশের অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত

সংঘর্ষে আহত ৮ জনের মধ্যে ২ জন ভিএক্স গ্ৰুপের ও ৬ জন বিজয় গ্ৰুপের বলে জানা গেছে।

আহত নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ 

জানতে চাইলে চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক খোন্দকার মোহাম্মদ আতাউল গণি রাত ১২টার দিকে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ এফ রহমান হলের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। কারো মাথা ফেটেছে, কারো হাত, পা সহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে।'  

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে। ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাও অবস্থান করছেন। 

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াকে ফোন করা হলেও, তিনি রিসিভ করেননি।

যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরিস্থিতি এখন শান্ত। দুই পক্ষকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় কারা জড়িত, চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।'

Comments

The Daily Star  | English
AI-manipulated image of Shahbagh engineering students’ protest, DMP claims

Debunking DMP claim, frame by frame

The Daily Star photographer, who was present at the scene, described the incident as it unfolded

3h ago