ক্যাম্পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলা

আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন জামিয়া মোহাম্মদিয়া ও শিশু সদন কমপ্লেক্সের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার পর ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রলীগের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির ৩ নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন জামিয়া মোহাম্মদিয়া ও শিশু সদন কমপ্লেক্সের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান হৃদয় এবং বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহান আহত হন।

হামলার শিকার সালমান বলেন, 'অর্থনীতি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের কাওসার আমাকে ঘুষি মারে এবং লাঠি দিয়ে আমার গায়ে, হাতে ও পায়ে আঘাত করে। এরপর আরেকজন আমাকে সিএনজি করে নিয়ে যায়।'

পরে নেতাদের ওপর হামলা প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইমরান হোসাইন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ক্যাম্পাসে ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।'

বিক্ষোভ করার সময় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা প্রক্টরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন ও তার পদত্যাগ দাবি করেন। ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, হামলাকারীদের মধ্যে যুবদল নেতা রনি, বিপ্লব চন্দ্র দাস ও ইকবাল খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি, পুলিশকে জানিয়েছি। যারা হামলা করেছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ না।'

৩ নেতার ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

এ বিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক এস এম আতিকুল্লাহ বলেন, 'ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। হামলার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Cyber Security Agency exists only in name

In December 2018, when the Digital Security Agency was formed under the Digital Security Act, it was hoped that the cybersecurity of important government sites with critical citizen data such as the Election Commission’s national identity database and the Office of the Registrar of Birth and Death  would be robust.

8h ago