জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিংয়ের নামে মানসিক ও শারীরিকভাবে নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত ১১ জনের সবাই প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিডনি ফিল্ড সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিডনি ফিল্ড সংলগ্ন এলাকায় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ডেকে পাঠায়। এসময় তাদের মানসিক ও শারীরিক নিপীড়নের নির্দেশ দেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দৌড়ে পালিয়ে যান। তবে আব্দুল্লাহ আল কাফি নামে এক শিক্ষার্থীকে ধরে ফেলা সম্ভব হয়।

আব্দুল্লাহ আল কাফি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজকে আমাদের ডিপার্টমেন্টের জুনিয়রদের ডাকা হয়েছিল। আমরা ৫০ ব্যাচের ১০-১২ জন ছিলাম। আমি কীভাবে যেন আজকে এসে পড়েছি। আমি ভুল স্বীকার করছি, আর এমনটা হবে না।'

যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সহকারী অধ্যাপক এস এম এ মওদুদ আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা রাতে জানতে পারি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিডনি ফিল্ড সংলগ্ন জঙ্গলে বেশ হট্টগোল হচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে প্রক্টর স্যারের নির্দেশে আমরা ২ জন সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে যাই।'

'যাওয়া মাত্রই কয়েকজন সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়৷ তবে আমরা আব্দুল্লাহ আল কাফি নামে একজনকে ধরতে পারি। সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের নামও কাফি আমাদের জানিয়েছে,' বলেন মওদুদ আহমেদ।

তিনি আরও বলেন, 'নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago