শিক্ষার্থী-গ্রামবাসী সংঘর্ষে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা

সাভারের আশুলিয়ায় বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান অন্তর হত্যাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ দিনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এজাজ উর রহমান।
তিনি বলেন, 'গত ২৭ অক্টোবর আমাদের শিক্ষার্থী অন্তরকে খাগান এলাকায় মারধর করে গুরুতর আহত করে স্থানীয় দূর্বৃত্তরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ নভেম্বর মারা যান অন্তর। ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে। সেসময় বাইরে থেকে বহিরাগতরা (এলাকাবাসী) ইউনিভার্সিটির একটি ভবনে হামলা করে এবং ইটপাটকেল ছুড়ে ভবনের গ্লাস ভাঙচুর করে।
'সেসময় শিক্ষার্থীরা বাইরে গেলে তারা হামলা করে। এতে ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটির পেছন গেইট এলাকায় বেশ কিছু দোকান ভাঙচুর করে। আমরা ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম আজ থেকে আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছি,' বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা ও শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখনো মামলা করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।'
জানা গেছে, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম অন্তরকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে গত ২ নভেম্বর থেকে উত্তপ্ত সাভারের খাগান এলাকা। শিক্ষার্থী হত্যাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল রোববার রাতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় চাঁদগাঁও এলাকাবাসী। শিক্ষার্থীরাও এলাকায় প্রবেশ করে প্রায় ২০০ দোকান ভাঙচুর করে।
চাঁদগাও এলাকার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি সাহরিয়ার সুমন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষার্থীরা অন্তত ৭০টি দোকান ভাঙচুর ও ৪টি দোকান আগুন দিয়েছে। এছাড়া দোকানে লুটপাট চালিয়েছে।'
তবে গ্রামবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেনি বলে জানান বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম মণ্ডল। তিনি বলেন, 'মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলার বিষয়টি আমি জানি না।'
জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান বলেন, 'শিক্ষার্থীরা দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে। গ্রামবাসীর সাথে কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। এখন ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।'
Comments