অবন্তিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় সহপাঠী ও সহকারী প্রক্টর গ্রেপ্তার

অবন্তিকার আত্মহত্যা
অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী (বায়ে) ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) বদরুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রাতে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি থানার একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করেছে

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, 'তারা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে বা আত্মগোপন করতে না পারে সেজন্য আমরা কুমিল্লা পুলিশকে সহায়তা করছি। এ ব্যাপারে কুমিল্লা পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।'

এর আগে শনিবার রাত ৮টার দিকে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় এই দুজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়,অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান ইন্টারনেট এবং সরাসরি তাকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। আম্মানের বিরুদ্ধে সহাকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে অভিযোগ করলে তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অবন্তিকাকেই নানাভাবে অপদস্থ করছিলেন।

এ বিষয়ে ওসি বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় নিজেদের বাসায় অবন্তিকার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

মৃত্যুর ১০ মিনিট আগে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বিক্ষোভ হয়েছে কুমিল্লাতেও।

ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের জেরে আম্মানকে বহিষ্কার এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

Comments

The Daily Star  | English

Once a lifeline, Labondaho now a curse

Abdul Aziz once harvested rice in abundance from his fields next to Labondaho, once a picturesque river located in Indrapur, Gazipur’s Sreepur. Today, he stands on cracked earth, nursing losses and lamenting poisoned waters.

14h ago