মহাখালীতে এবার রেলপথ অবরোধ করলেন তিতুমীর শিক্ষার্থীরা

মহাখালী রেলক্রসিংয়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান। ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো সড়ক অবরোধ করা শিক্ষার্থীরা এবার মহাখালী রেলক্রসিংয়ে অবস্থান নিয়েছেন।

আজ সোমবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে ৭০-৮০ জন শিক্ষার্থীদের একটি দল মিছিল নিয়ে রেলক্রসিংয়ে অবস্থান নেন।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক আসিফুর রহমান জানান, ক্রসিংয়ে অবস্থানের কারণে ইতোমধ্যে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন আটকা পড়েছে।

মহাখালী রেলগেটে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে। ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

এ সময় আন্দোলনকারীদের একজন আলী আহম্মেদ মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টা কিংবা শিক্ষা উপদেষ্টা এখানে এসে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত রেলক্রসিং থেকে আমরা নড়ব না।'

অবরোধের কারণে জনভোগান্তির জন্য সবার কাছে 'ক্ষমা' চেয়ে আহম্মেদ আরও বলেন, 'আমরা এটা করতে বাধ্য হয়েছি। রাষ্ট্র আমাদের আজ এ পর্যায়ে এনে দাঁড় করিয়েছে।'

অনশনরত শিক্ষার্থীদের কলেজের সামনে থেকে হুইলচেয়ারে মহাখালী রেলগেট নিয়ে আসা হয়। ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। এছাড়া দাবি আদায়ে যে শিক্ষার্থীরা অনশন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন তাদের কয়েকজনকেও হুইল চেয়ারে করে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে।

এর আগে আজ সকাল ১২টার দিকে অল্প কিছু শিক্ষার্থী কলেজের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক আটকে দেন।

এতে সড়কের দুই পাশেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আজ পূর্বঘোষিত 'বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি' কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মহাখালীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও রেল লাইন অবরোধ করার ছিল।

কিন্তু বিকেল ৩টা পর্যন্ত  কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য বার বার মাইকে ডেকেও লোক পাচ্ছিলেন না তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Opening aid corridors, leasing out ports not this govt’s job

Making decisions on a “humanitarian corridor” to Rakhine and leasing out container terminal of Chittagong Port to foreign companies are not the interim government’s job, said BNP acting chairman Tarique Rahman last night.

3h ago