পাবিপ্রবি ও জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোলাবোরেশন রিসার্চ কর্মশালা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) ও জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে 'ফ্রম আইডিয়াস টু ইমপ্যাক্ট: কোলাবোরেটিভ রিসার্চ অপুরচুনিটিজ বিটুইন পাস্ট অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব ইয়ামানাশি' বিষয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম। পাবিপ্রবি থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় রিসোর্স পারসন ছিলেন জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হানাওয়া মাসানোরি এবং সেন্টার ফর প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনালাইজেশনের ডিরেক্টর ও ম্যাকাট্রনিক্সের অধ্যাপক হিরোমিতশু নিশিজাকি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল প্রথমেই জাপানি অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, জাপান আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু এবং তাদের প্রতি আমরা খুবই কৃতজ্ঞ। বিভিন্ন সেক্টরে আমাদের সুযোগ আছে তাদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার। প্রকৌশল ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে জাপানের সঙ্গে আমাদের কোলাবোরেশন বাড়াতে হবে। জাপান প্রতিটি বিষয়ে কোয়ালিটি মেইনটেন করে, আমাদেরও ভালোকিছু করতে হলে গুণগতমান রক্ষা করতে হবে। জাপান বিভিন্ন নামে স্কলারশিপ দিয়ে থাকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য। সে সুযোগকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির ব্যাপারে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলটি কৃষিপ্রধান। এখানে প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে কৃষি নিয়ে কাজ করারও সুযোগ আছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশ, বিভিন্ন সমস্যা আমাদের আছে। সমস্যা সমাধানের জন্য উন্নত বিশ্বের সঙ্গে কোলাবোরেশন বাড়াতে হবে।
অধ্যাপক হানাওয়া মাসানোরি এবং অধ্যাপক হিরোমিতশু নিশিজাকি বলেন, এখানে এসে আমরা খুবই সম্মানিত বোধ করছি। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ভবিষ্যতে আমরা পাবিপ্রবি ও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোলাবোরেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে নলেজ এক্সচেঞ্জ করতে পারব।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জাপান অবকাঠামো, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। তিনি অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান বলেন, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে জাপানের প্রভাব পৃথিবীব্যাপী। আমাদের দেশে গবেষণা ও শিক্ষায় অনেক কাজ করার সুযোগ আছে। এসব বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারলে আমরা খুবই উপকৃত হবো বলে প্রত্যাশা করি।
উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ জাপানি অতিথিদের হাতে আমাদের সংস্কৃতির নিদর্শন হিসেবে ফতুয়া, গামছা ও নকশি কাঁথা উপহার হিসেবে তুলে দেন।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক ড. রাহিদুল ইসলাম পাবিপ্রবির একটি সংক্ষিপ্ত ডকুমেন্টারি, বাংলাদেশ ও জাপানের শিক্ষা, অর্থনীতি, কৃষ্টি, কালচার, পরিবেশ, জনসংখ্যা, বাংলাদেশে জাপানের নির্মিত অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয়ের ভিডিও চিত্র তুলে ধরেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. মনির হোসেন এবং ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শামীম রেজা।
আইকিউএসির উদ্যোগে কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন। সঞ্চালনা করেন সিএসই বিভাগের শিক্ষক নিতুন পোদ্দার।
সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দিনব্যাপী চলা কর্মশালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
Comments