রাত ৮টার মধ্যে হল খোলার আল্টিমেটাম, প্রশাসনিক ভবনের সামনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা

ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

আজ রোববার রাত আটটার মধ্যে সব হল খুলে দেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছেন খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

বিকেলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কুয়েট সিন্ডিকেট সদস্য ও ইইই ডিসিপ্লিনের প্রধান মো. রফিকুল ইসলামের কাছে এই বিষয়ে লিখিত আবেদন দেন তারা।

শিক্ষার্থীরা জানান, রাত আটটার মধ্যে হল না খোলা হলে তারা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। এর আগ পর্যন্ত তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।

কুয়েট সিন্ডিকেট সদস্য ও ইইই ডিসিপ্লিনের প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তারা শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনেছেন। এখন তারা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন।

দেড় মাস বন্ধ থাকার পর আজ দুপুর তিনটায় কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, আজই হল খুলে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে দিতে হবে।

দুপুর ২টায় পূর্ব ঘোষণা দিয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান গেটে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক মূল ফটকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সোয়া তিনটার দিকে শিক্ষার্থীরা আইডি কার্ড দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন। হল প্রভোস্টরা ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

আজ দুপুর ২টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক বন্ধ। পরিচয় নিশ্চিত হয়ে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষকদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। প্রধান ফটকে ১৫-২০ জন পুলিশ মোতায়েন আছে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বেশকিছু নিরাপত্তাকর্মী আছেন। ক্যাম্পাসের হলগুলো সিলগালা করে তালাবদ্ধ। ক্যাম্পাসের আইটি গেটেও পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সেই সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে তাদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে হামলা করেছে।

অপরদিকে ছাত্রদল দাবি করে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রশিবির হামলা করেছে। সেই সময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ক্লাস বর্জন করে এবং উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ, ছাত্ররাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করে।

২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের ছয় দফা দাবি লিখিত আকারে জমা দেন। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে ছাত্রদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়। তখন প্রশাসন ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda leaves London for Dhaka in air ambulance

Fakhrul urges BNP supporters to keep roads free, ensure SSC students can reach exam centres

4h ago